পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা বলেছেন, পানামা পেপারসে তাঁদের কোনো নাম নেই। এটা শুধুই হয়রানি। ব্যবসায়িক প্রতিদ্ব›দ্বীর চক্রান্তে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। পানামা পেপার্সে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। আপনারাও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট (নেহাত হয়রানি)।
গতকাল সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাসান মাহমুদ রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এদিকে দুদকের সচিব ড. মো: শামসুল আরেফিনের সাংবাদিকদের বলেন, কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না। দুদক কাউকে হয়রানি করে না, হয়রানি করার সুযোগও নেই। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখা হবে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাসান মাহমুদ রাজা বলেন, ব্যক্তিগত এবং কোম্পানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। এটা একটি পত্রিকা লিখেছিল যে আমাদের নাকি নাম আছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপারস প্রকাশ পেয়েছিল। আমাদের তো এখন ডাকার কথা না। তিনি বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাঁদের নাম এসেছিল, তাঁদের ডাকা হয়েছিল। তখন আমাদের ডাকেনি। আমাদের কমপিটিটর উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নাম প্রকাশ করেছে। আপনারাও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। আমাকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট। আমাদের আয়করের সব নথি জমা দিতে বলেছে।পানামা পেপারসে নাম আসায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেড মার্কেটিং লিমিডেটের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসায় এর আগে ৮ জুলাই এ চারজনসহ ৭ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ পাঠায় দুদক। এর আগেও এ বিষয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা যে তিনজনকে ১৭ জুলাই হাজির হতে বলা হয়েছে, তাঁরা হলেন উইং লিমিটেডের পরিচালক এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ইন্ট্রিডিপ গ্রুপের ফারহান ইয়াকুবুর রহমান ও ফেলকন শিপিংয়ের মাহতাবা রহমান। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল মোসাক ফনসেকা নামে পানামার একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়। কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারসংক্রান্ত সাড়া জাগানো পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে এ পর্যন্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নামও উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে উপপরিচালক আখতার হামিদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্যারাডাইস পেপারসের প্রায় ২৫ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়। এখানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।