পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে উৎসবের আমেজে বাড়ছে উত্তেজনা। বিএনপি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে। দিন যত যাচ্ছে উত্তেজনার পারদ তত বাড়ছে। নির্বাচনী রির্টানিং অফিসারের কাছে জমেছে অভিযোগের পর অভিযোগ। আচরন বিধি লংঘন ভয়ভীতি দেখানো বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা ঘর ভেঙে দেয়া। প্রচার করতে বাধা, পোস্টার, ব্যানার নষ্ট করা। সাথে রয়েছে পুলিশী হয়রানীর অভিযোগ। নির্বাচনী পরিবেশকে উত্তপ্ত করার জন্য একে অপরকে দুষছেন। রির্টাানিং কর্মকর্তা বলছেন অভিযোগ পেয়েছেন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যদিয়ে পাঁচ মেয়র প্রার্থী নানাভাবে তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা বলছেন শান্তির নগরী রাজশাহী শান্ত থাকুক।
বিএনপির প্রার্থীর গণসংযোগ
বিএনপি মেয়র প্রার্থী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর ৫ ও ৬ নং এবং ৩নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তাফা, বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, ওয়ার্ডের শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে এবং নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে। সেইসাথে নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও তাদের অযাচিত ভাবে গ্রেফতার করছে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণার সময় নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান ও নারী কর্মীদের অসম্মানজনক কথা বলেছে এবং অপমান করছে। এনিয়ে বার বার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী হলফ নামায় যে তথ্য প্রদান করেছে তা অতিক্রম করছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। তিনি বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন। তার সময়ে রাজশাহীর কোন উন্নয়ন হয়নি। লিটন চাকরি দেওয়ার নাম করে নগরীর যুব সমাজের সাথে প্রতারণা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, পুনরায় বিজয়ী হলে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা স্থাপন কার হবে। এছাড়াও কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা সহ আরো নানা ধরণের কার্যক্রম গ্রহন করবেন। সেইসাথে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এছাড়াও ২০৫০ সাল নাগাদ রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম সিটিতে পরিণত করা হবে। সেইসাথে ট্যাক্সে বোঝা কমিয়ে আনা হবে।
সুষ্ঠু ভোট হওয়ার স্বার্থে নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দেবেন। সেইসাথে ভোটের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র হতে বের হবেন পোলিং এজেন্টরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আগামীতে রাজশাহী থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গণসংযোগ
রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত, মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। গতকাল সকাল থেকে ১ নং ওয়ার্ডের কাশিয়াডাঙ্গা মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর কাঠালবাড়িয়া, রায়পাড়া, গুড়িপাড়া ক্লাবের মোড় হরগ্রাম পালপাড়া এলাকায় বিভিন্ন দোকানে, বাড়িতে ও পথচারীদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান। এ সময় খায়রুজ্জামান লিটনের আসার খবর পেয়ে দলে দলে সব বয়সী নারী-পুরুষ তাঁর কাছে ছুটে আসেন। নিজ নিজ এলাকার সমস্যা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন তাদের আশ^াস দিয়ে বলেন, রাজশাহীকে মেগা সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। নগরীরতে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য আমি কাজ করার সুযোগ চাই। আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন। নগরীর সব উন্নয়ন আমার কাছে থেকে বুঝে নিবেন।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনে পরাজয় অনুমান করতে পেরে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। কেন্দ্রীয়ভাবে হয়তো তাদের শিখিয়ে দেয়া হয়েছে, প্রতিদিন একটার পর একটা কমপ্লেন দেয়ার জন্যে। তারা যে অভিযোগগুলো তুলেছে একটিও সঠিক নয়। বরং আমার অনেক পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, বিলবোর্ড কেটে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইসিতে অভিযোগ দিয়েছি।
এদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ বিভিন্ন এলাকায় জোনায়েদ সাকিকে সাথে নিয়ে প্রচারণা চালান। ইসলামী আন্দোলনের শফিকুল ইসলাম নগরজুড়ে মাইকিং করে তার পক্ষে ভোট চান। কাউন্সিরর প্রার্থীরাও প্রচারণায় নেমে পেড়েছেন জোরে শোরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।