রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পাট চাষ ভালো হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে পানি কিংবা পাট জাগার জায়গা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাট চাষীরা। পাট চাষ করে সময়মত পাট পানিতে ফেলতে না পারলে যেমন শুকিয়ে যায় তেমনি এই বর্ষার মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক কৃষক পাট জমিতেই রেখে দিয়েছেন। আবার অনেকেই পাট কাটতে পারছেন না বলেও জানান। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না থাকায় পাট জমিতেই রেখে দিচ্ছেন অনেকেই।
খানসামার ভান্ডারদহ গ্রামের পাট চাষী ইউনুস আলী জানান, আমি গতবার পাট লাগিয়েছিলাম, কিন্তু ভালো ফলন পাইনি। এবার আমার পাটের ভালো ফলন হয়েছে তবে সমস্যায় পড়েছি পানি এবং পাট জাগ দেয়া নিয়ে। কারণ এই সময় আকাশের বৃষ্টি হয় ফলে বিভিন্ন খালে পানি জমে থাকে কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা খাল-বিলে পাট জাগ দিতে পারছি না। একই গ্রামের হাসান আলী বলেন, আমি পাট কেটে জমিতে রেখে দিয়েছি। পানি নেই বলে পাট জাগ দিতে পারছি না। এভাবে বেশিদিন থাকলে পাট শুকিয়ে যাবে। তখন পাটের আশ ভালো হবে না। ফলে পাটের ওজন কমে যাবে এবং ছাল ছাড়াতে কষ্ট হবে। পাট চাষী ইফসুফ আলী বলেন, গ্রামের মধ্যে আগে অনেক খাল ছিল,আমাদের আশপাশে কোনো নদ-নদী নেই তাই আমরা গ্রামের খাল গুলোতে পাট কাটার পর পানিতে জাগ দিতাম কিন্তু বর্তমানে এরকম খালের পরিমানও কমে গেছে ফলে পাট জাগ দেওয়ায় অনেকেই অসুবিধার মধ্যে পড়েছি।
পাট চাষের প্রতি দিন দিন সরকারি বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিয়তই গুরুত্ব দিলেও পাট চাষীদের এমন অবস্থা হলে গ্রামের এসব মানুষ পাট চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলেও অনেকেই ধারণা করছেন। পাট চাষীদের দাবী,সরকারি ভাবে পাট চাষের উপর গভীর নলকূপ কিংবা খালের ব্যবস্থা করে দিলে পাট চাষীরা উপক্রিত হতো এবং পাট চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।