Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দির পর পিন্টুকে কারাগারে প্রেরণ

অর্থ, বন্ধকী স্বর্ণালঙ্কার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করি

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ৪:৫১ পিএম

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের পর ঘাতক পিন্টু দেবনাথকে বিচারক মেহেদী হাসান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে প্রবেশের পথে এবং স্বীকারোক্তি প্রদানের পর প্রবীর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের ঠান্ডা মাথার খুনি পিন্টু দেবনাথ অত্যন্ত স্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। বিজ্ঞ বিচারক মেহেদী হাসানের খাস কামড়ায় প্রবেশের সাথে সাথে ”নমস্কার” বলে মন্তব্য করে ঘাতক পিন্টু । আদালতের খাস কামড়া থেকে বেড়িয়ে আসার সময় ”আদাব” বলে বিদায় নেয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে। দীর্ঘ জবানবন্দি প্রদানের সময় অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিলো ঘাতক পিন্টু দেবনাথ।

আদালতে হত্যাকান্ডের মূল হোতা পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের দারোগা মফিজুল ইসলাম আদালত চত্তরেই উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, প্রবীর ঘোষ তার কাছে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও আরো কিছু স্বর্ণালংকার পাওনার জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে আসছিলো। এবং এই পাওনার জন্যর দোকান ও ব্যবসা দখল করতে পারে এই আশংকা ও নারী সংক্রান্ত কেলেংকারী নিয়ে ব্যকমেইলিং করায় গত কয়েক মাস যাবত প্রবীরকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে ঈদের ছুটিতে মদ ও নারীর প্রলোভনে ফেলে ডেকে এনে একাই হত্যা করে লাশ লুকিয়ে ফেলতে টুকরা টুকরো করি। প্রসঙ্গত, নিখোঁজের ২১ দিন পর গত ৯ জুলাই রাতসাড়ে ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পিন্টু ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকত। ১৮ জুলাই রাত ৯টা দিকে প্রবীরকে মোবাইলে বাসা থেকে ডেকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে পিন্টু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ