বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোটা সংস্কারে রাজপথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসব হামলাকে অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছেন দেশের উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। তারা বলেন- আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং তা কোনভাবেই কাম্য নয়। রাষ্ট্রের নাগিরক হিসেবে প্রত্যেকের কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থানও স্বচ্ছ থাকতে হবে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায্য দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার : কোন পথে বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সংলাপে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ এ সব কথা বলেন। নারী নেত্রী খুশী কবিরের সঞ্চলনায় সংলাপে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী রফিক আহমেদ সিরাজী।
রফিক আহমেদ সিরাজী বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্বচ্ছ থাকতে হবে। সরকারের সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রশাসন, পুলিশ এবং ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার দিয়ে সাধারণ আন্দোলনকারীদের ওপরে এ ধরনের নিপীড়কের ভ’মিকা নেওয়া সম্ভব হতো না। বিশিষ্ট নাগরিক এম হাফিজউদ্দিন খান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অবস্থা খুবই সংকটাপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে দেশের যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, কোটা সংস্কারকারীদের ওপরে রাষ্ট্রের আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। রাষ্ট্রের এমন আচরণ সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। সরকার একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করে যাচ্ছেন।
সংলাপে অংশ নিয়ে রিমান্ডে থাকা রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি রাশেদের মুক্তি দাবি করে বলেন, তার ছেলে কোন অন্যায় করেনি। নায্য অধিকার চাইতে গিয়ে সরকারের রোষানালে পড়েছে।
সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে নেত্রী মালেকা বেগম, অধ্যাপক আমেনা মোহসীন, আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এ এন রাশেদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক রুশাদ ফরিদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক লুবনা জেবিন, সাংবাদিক গালাম মতুর্জা, শিক্ষক রেজাউর রহমান ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।