পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন ব্লম বার্নিকাট বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনিয়মমুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার তিনি রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আহ্বান জানান। পরে মন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন,ওয়াশিংটন আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথাও তারা বলেছেন। মন্ত্রী বলেন, আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালোভাবে হোক এটাই তারা চান। তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে তারা বলেছেন। এছাড়া খুলনা সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন। সামনের নির্বাচনগুলো যতোটা সম্ভব অনিয়মমুক্ত করার জন্য তারা সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছেন।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন- সরকার বরাবর একই অবস্থানে আছে, অনিয়ম যেখানে, সেখানে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা (নির্বাচন কমিশন) যদি আরও অন্য অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে চায়, সেটা করবে। সামনের নির্বাচনগুলো যেন আরও ভালো হয়, সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনই নজর দিতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে সব রকমের সহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আপনাদের দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই। আগামীতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। আপনাদের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত, আপনারা যতো পর্যবেক্ষক পাঠাতে চান, অন্য দেশ থেকে যতো পর্যবেক্ষক আসুক কোনো বাধা নেই।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে যে বিষয়টি বলেছেন, সেটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। আমি বিষয়টাকে এমনভাবে বলেছি, আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে যেন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, বা বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো ধরনের ফাটল যেন না ধরে।
তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে অ্যাটাক করে কোনো সমালোচনা করতে যাইনি। বলেছি, দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের বা কোনো রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বা বন্ধুত্বে কোনো ধরনের ছেদ হয়- এ ধরনের মন্তব্য থেকে আমাদের সবাইকে দূরে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে কথা বলার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলা নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ঘাটতি নেই। রোহিঙ্গাদের ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সীমান্ত খুলে দিয়েছেন, তখন সারাবিশ্বে মানবতার জননী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রেরও তাতে সমর্থন আছে। এটা শক্তি ও সাহসের বিষয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) তো আমাকে বলছেন যে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। কাজেই এখানে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো সন্দেহ বা সংশয় আছে বলে মনে করি না। সরকার কোনো বাধা দেবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি আসতো সরকার কি বাধা দিত, তারা আসেনি এটা তাদের বিষয়, তাদের ভুল। এবার আসবে কি আসবে না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। বিএনপি নির্বাচনে আসবে তাদের নেতারাই তো বলেছেন। বিএনপি না এলে তাদের ‘আসুন আসুন আসুন’, টেনে আনার কোনো দায়িত্ব আমাদের না।
কোটা আন্দোলন বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে কাদের বলেন, আমি শুধু এটুকু বলেছি দেখুন, আমরা কিন্তু পৃথিবীর অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে, ওয়াশিংটনেরও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কখনো কোনো মন্তব্য করি না। আমাদের চর্চা আছে যে আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে- সেটা রাজনৈতিক হোক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক হোক, আমাদের নাক গলানো সমীচীন বলে মনে করি না।
সেতুমন্ত্রী জানান, সাক্ষাতকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তাঁকে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।