বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি এক প্রবাসী নারী সাজেদা ই বুলবুল (৩০) এর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে মালয় পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, সাজেদার স্বামী শাহজাদা সাজু এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর লাশ গুম করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নদীর পাশে ফেলে দিতে চেয়েছিল ঘাতক স্বামী।
গত ৫ জুলাই কুয়ালালামপুরের একটি ব্রিজের কাছ থেকে দুটি ব্যাগ থেকে ছয় টুকরা করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর সদরের পুরাতন আদালতপাড়ার আনিস হাওলাদারের ছোট মেয়ে সাজেদা ই বুলবুল। ২০০৪ সালের ২৪ এপ্রিল একই জেলার মির্জাগঞ্জের সুবিদখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বরে উচ্চশিক্ষার জন্য স্ত্রীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় শাহজাদা। বিয়ের পর থেকে শাহজাদা সাজু ও তার পরিবারের সদস্যরা সাজেদার ওপর নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ করেছেন তার বোন উপমা ফারহান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার বোনকে হত্যার পর গুম করতে চেয়েছিল তার স্বামী শাহজাদা। কিন্তু তা করতে পারেনি। ভাগ্যক্রমে তার লাশটা উদ্ধার হয়েছে। আমার বোনকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করতো সে। নেশা করে প্রায় প্রতিনিয়ত আমার বোনকে মারধর করতো। সবশেষ সে আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই। আমার বোনের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
কুয়ালালামপুর পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি মাজলান লাজিম স্থানীয় গণমাধ্যম ‘নিউ স্ট্রেইট টাইমস’কে জানান, দুটি ব্যাগের মধ্য থেকে ছয় টুকরা করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার বাঙালি কমিউনিটির সহায়তার নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই কুয়ালালামপুরে থাকা শাহজাদা ও বাংলাদেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়েছে। নিহত সাজেদাই বুলবুলের সাত বছরের মেয়েরও কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।