বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিদায়ী অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯২৬ কোটি টাকা। ফলে বিগত অর্থবছরগুলোতে নেওয়া ব্যাংকঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। অথচ বিদায়ী অর্থবছরের মে মাসেও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যাংকঋণের স্থিতি ছিল ৮৯ হাজার ৭১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুন শেষে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৯০ হাজার ৬৪২ কোটি ছয় লাখ টাকা। সেই হিসাবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ বেড়েছে ৯২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বা ১ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ।
তবে এই সময়ে সরকারের ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। পরে অর্থবছরের শেষ দিকে এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ১৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু এই পরিমাণ ঋণেরও প্রয়োজন পড়েনি সরকারের। পরিসংখ্যান দেখা যায়, এ পর্যন্ত ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২৩ হাজার ৬৭৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৬৬ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে সরকারের। সাধারণত ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য অর্থনীতিবিদরা বরাবরই সরকারকে ব্যাংক থেকে যতটা সম্ভব কম ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বিদায়ী অর্থবছরে অতিমাত্রায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও বৈদেশিক খাত থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা আসায় সরকারের ব্যাংকঋণনির্ভরতা কমেছে। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঘাটতি অর্থায়নও কম হয়েছে। ব্যাংকের বাইরে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোসহ অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়ার কথা ছিল ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক সহায়তা এসেছে ২৫ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা; যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এদিকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের পুরো সময়ে এক লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপির মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার ৯৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও সরকারকে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে কোনো ঋণ করতে হয়নি। ওই অর্থবছরে মূল বাজেটে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ চাহিদা কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৩১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে সরকার কিছু ঋণ করলেও পরে তা শোধ করায় অর্থবছর শেষে তা ঋণাত্মক ধারায় নেমে আসে। ওই অর্থবছরে সরকার আগের ঋণ থেকে ১৭ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে। যদিও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার প্রায় চার হাজার ৩২৬ কোটি টাকার ঋণ নিতে হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।