বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী : উচ্চ আদালত এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে চলছে অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, ভটভটি ও হিউম্যান হলার। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অদূরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের হাটিকুমরুল মোড় থেকে উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি সেতু হয়ে বেড়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কি.মি সড়ক এখন এসব যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বিগত কয়েক বছরে বাস ও ট্রাকের সঙ্গে এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। যে কারণে উচ্চ আদালত এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে মহাসড়কে স্বল্পগতির এসব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
সরকারি ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের আগস্টের শুরুতে হাইওয়ে পুলিশ ও প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠেন। ফলে বেশ কিছুদিন এসব যানবাহন মহাসড়কে চলা সাময়িক বন্ধ ছিল। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই এসব যানবাহন বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচল শুরু করে। সরেজমিনে ওই মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মোড়ে এসব যানবাহনস্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, জেলার অন্যান্য মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে এখনও সম্ভব হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের নিয়ে গত জুলাই থেকে প্রায় তিন শতাধিক মামলা করা হয়েছে। অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, ভটভটি ও কাটা মাইক্রোবাস আটক করা হয়েছে। উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ বলেন, ‘বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কটির নিয়ন্ত্রণ হাইওয়ে থানা পুলিশের। হাইওয়ে থানার ওসিকে এ বিষয়ে আগে তৎপর হতে হবে। শাহজাদপুর থানার ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই অভিযান চালাচ্ছি। তরপরেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু কিছু যানবাহন চলছে। পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (এডি) জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের জনবল কম, তারপরেও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিসেট্রটদের সঙ্গে নিয়ে আমরা নিয়মিত অভিযানে অংশ নিচ্ছি।’ জেলা ট্রাফিক বিভাগের প্রশাসনিক দফতরের ইনচার্জ পরিদর্শক মিলাদুল হুদা বলেন, ‘মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচলে আমাদের একেবারেই জিরো-টলারেন্স। আমরাও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু, জনবল কম থাকায় অভিযান সেভাবে জোরদার করা সম্ভব হচ্ছে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।