ভারত কাকে আসতে দেবে আর কাকে দেবে না এটা তাদের বিষয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল। তিনি বলেন,
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেক্সান্ডার কার্লাইলকে ভারতে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো হাত নেই।
শুক্রবার গাজীপুরের চন্দ্রায় আগামী কোরবানির ঈদের সড়ক প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ভারতে কে আসবে কে আসবে না, ভারতে আসতে কার অনুমতি লাগবে, কীভাবে অনুমতি নিতে হবে, এটা ভারতের নিজেদের নিয়মকানুনের বিষয়। ভারতের নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়। ভারত কাকে আসতে দেবে, কাকে দেবে না। ভারত থেকে বলা হয়েছে, ফরেন অফিস (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) থেকে যে এখানে প্রয়োজনীয় যে ডকুমেন্টস, কাগজপত্র এগুলোর ঘাটতি রয়েছে এবং ঘাটতি থাকার কারণে লর্ড সভার সদস্য কার্লাইলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এখন এই অনুমতির ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে ভারত সরকারের বিষয়। এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা বা বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা এখানে নেই। এটা ভারতের ইন্টারনাল ম্যাটার (অভ্যন্তরীণ বিষয়)। এখানে বাংলাদেশ সরকার কেন এ ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করবে?’
কাদের আরো বলেন, ‘আমি আবারও আশ্বস্ত করতে চাই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে
নির্বাচন কমিশনের যে নিয়মকানুন, আচরণবিধি আমরা সরকারি দলের পক্ষ থেকে আমরা সব মেনে চলব। এবং আগামী তিনটি নির্বাচন—রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না।’
গত বুধবার যু্ক্তরাজ্যের উচ্চকক্ষ পার্লামেন্ট হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও আইনজীবী লর্ড আলেক্সান্ডার কার্লাইলের ভিসা বাতিল করে ভারত সরকার। ফলে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁকে।