পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার রিভিউ আবেদন স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেছেন আপিল বিভাগ। তবে ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি না হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল শুনানির সময় বৃদ্ধির আবেদন জানানোর সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে এই আপিল শুনানির যে আদেশ রয়েছে সে অনুযায়ী আপনারা আপিল শুনানি শুরু করেন। তবে এই সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করতে না পারলে আপিল বিভাগ বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এদিকে এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ১৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত। এছাড়াও কুমিল্লার দুইটি মামলার জামিনের বিষয়ে রুলের শুনানি আগামী সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।
রিভিউ শুনানিতে আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। এসময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত আজকে একটি আদেশ দিয়ে বলেছেন, আপনারা শুরু করেন। ৩১ জুলাইর মধ্যে যদি সমাপ্ত না হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়টি আদালত পুনর্বিবেচনা করবে। আদালত এ আদেশ দিয়ে রিভিউ আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেছেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। গত ২৭ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল ৩১ জুলাইর মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়। গত ১৬ মে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া তাঁর সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে আপিল দায়ের করেছিলেন, তা ৩১ জুলাইর মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি মুলতবি:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ১৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এ আদেশ দেন। বেলা ১১টায় খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১২ জুলাই শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা। এ আবেদনের পর আদালত ১৯ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান মামলার পেপারবুক থেকে এফআইআর পড়া শুরু করেন। এরপর চার্জশিট পড়েন এ জে মোহাম্মদ আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এ কে এম এহসানুর রহমান, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও ফাইয়াজ জিবরানপ্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
শুনানির পর মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী রবি থেকে বৃহস্পতিবার কখন এ মামলার আপিল শুনানি হবে তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট। শুনানি শুরু হবে বেলা ২টায়। মঙ্গল ও বুধবার পুরো দিন আদালত এ মামলা শুনবে। বৃহস্পতিবার আবার বেলা ২টা থেকে শুনানি হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯ জুলাই আবার আমরা জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করব। এটার ব্যপারে কোনো অসুবিধা হবে না বলে মনে করি।
এদিকে এ মামলার সম্পূরক পেপারবুক চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আরেক আইজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান। তিনি বলেন, মামলা সংশ্লিষ্ট ৮ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্রের সংযুক্তি চেয়ে সম্পূরক পেপারবুকের আবেদন করা হয়েছে। আদালতে সেটি মেনশন করা হলে আদালত বলেছেন রোববার এ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
দুই মামলায় রুল শুনানি ১৬ জুলাই:
কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পরবর্তী এই দিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন একেএম এহসানুর রহান, মাসুদ রানা, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। এর আগে গত ২ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা হত্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টে রুল শুনানির জন্য ১০ জুলাই দিন ঠিক করেন। পরে তা পিছিয়ে ১২ জুলাই দিন ঠিক করেন। নির্ধারিত দিনে তা পিছিয়ে ১৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। #########
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।