পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন নারী মানে একজন মা, সেই নারী হয়ে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া, এটা চিন্তাই করা যায় না। এটা সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক। আর দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক সেটাই আমরা চাই। কারণ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে, দেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ থাকে তবে দেশ যে সবদিক থেকে এগিয়ে যায়, উন্নত-সমৃদ্ধ হয়- আমরা তা প্রমাণ করেছি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে দেশ উন্নত হয় না, বরং মানুষ বঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকার হয় তাও বার বার এ দেশে প্রমাণ হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের এমপি নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোর্টের রায়ে তার (খালেদা জিয়া) সাজা হয়েছে। মামলাটি প্রায় ১০ ধরে বছর চলেছে। বিএনপির এত জাদরেল আইনজীবী, তারা কেউ তো তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলো না, বরং তারা জানতো তিনি অপরাধী। তাই আগের দিন তাদের দলের গণতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করলো। দুর্নীতিবাজকে নেতা করার সুযোগ করে দিল। এটাই প্রমাণ হয় তিনি অপরাধী। এটা নারী জাতির জন্য কলঙ্কের। লজ্জার। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কোর্টের রায়ে জেলে আছেন। মামলাটা আমরা করিনি। কোর্টের রায়ে তার সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমাদের মেয়েরাই লাভবান হবে। আমি বলবো, নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা, উন্নয়ন সবকিছুই নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচন, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
গণতান্ত্রিক ধারাবাহিতা না থাকলে দেশের নারীরা নির্যাতিত হতো উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সারাদেশে নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়। এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে নারীরা নির্যাতন হয়নি। যে কারণে তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি, এটাই বাস্তবতা। সরকারি দলের সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি’র কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চলতি বছর ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এ গৌরব বর্তমান সরকারের, এ গৌরব দেশের ১৬ কোটি মানুষের।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আওয়ামী লীগ সরকারের গতিশীল উন্নয়নের ধারাবাহিকতার একটি অংশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটি সফল উৎক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে জাতির পিতার আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, স্থল ও জলসীমা জয়ের পর মহাকাশ জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা। ২০১২ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ সকল প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরে গত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
জাপার এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিতে আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা দরকার। আমরা তা নির্মাণ করবো। যার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ভৌগলিক দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে যোগাযোগ তৈরি করবো। আমরা বাংলাদেশ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এছাড়া আমরা আরও উন্নত বিমানবন্দর নির্মাণ করবো। দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎত কেন্দ্র নির্মাণ করবো। গ্রামকে নগরে পরিণত করবো, দেশের সব গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।