পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসছে নতুন মুদ্রানীতি। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যে মুদ্রানীতির ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের মতামত নেয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে বসছেন মুদ্রানীতি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
সূত্র জানায়, নতুন অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। এখন নতুন মুদ্রানীতি তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাবেক এবং বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন ধাপে এ বৈঠক শেষ করা হবে। এসব বৈঠকে আসা পরামর্শের আলোকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের নতুন মুদ্রানীতি তৈরি করা হবে।
জানতে চাইলে মুদ্রানীতি প্রণয়নে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, নতুন অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতির কাজ শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ধাপে ধাপে অন্য বৈঠকগুলো করা হবে।
মুদ্রানীতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের উভয় মুদ্রানীতি সংযত ধরনের ছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে ব্যাপক হারে। কোনো কোনো ব্যাংক আইনি সীমা লঙ্ঘন করেও ঋণ বিতরণ করেছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। তবে সর্বশেষ হিসাবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। ঋণ বিতরণের আইনি সীমা থাকলেও কোনো কোনো ব্যাংক সে সীমা লঙ্ঘন করে ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। আমানতের সাধারণ ব্যাংক ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি হারে ঋণ বিতরণ করায় কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানা করা হয়। আরও কয়েকটি ব্যাংককে সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে কারণে নতুন মুদ্রানীতিতে অনেক সংযোজন-বিয়োজন হবে।
প্রসঙ্গত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা বা এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ৬ মাস অন্তর আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে তার একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।