বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাটোর লালপুরে চলতি মৌসুমের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর কিছু দিন পরে মাঠে মাঠে শুরু হবে রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ। তাই একটু আগে ভাগেই মাঠ জুড়ে চলছে রোপা আমন ধানের বীজতলার জমি তৈরী ও বীজ রোপনের কাজ। লালপুর সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের এলাকা হওয়ায় এখানে বোরো ধানের চাষ তেমন একটা হয়না। রোপা আমন ধানই এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা। রোপা আমন ধানের চাষটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ প্রকৃতির উপর।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমের প্রায় ৩১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরীর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজতলা তৈরী হতে পরে বলে ধারনা করছে কৃষি বিভাগ। স্থানীয় কৃষকরা বলছে, চলতি মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হলেও গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে অনেক কৃষকের বীজতলা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি দ্রæত নেমে না গেলে ঐ সকল বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠ জুড়ে চলছে বীজতলার জমি তৈরী ও বীজ রোপনের কাজ। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ কৃষকরাই দেশীয় জাতের বদলে উচ্চ ফলনশীল (বিনা ধান-১৭, ৭, ২০, ব্রি-ধান ৪৯, ৬৬, ৭২, হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও কেয়া) জাতের ধানের বীজ রোপন করছেন। বিজ্ঞানের যুগে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাঠে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী ও বীজ রোপন করা হলেও মাঠে এখন পর্যন্ত চলছে গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজ রোপনের কাজ। এতে করে জমি ও বীজের অপচয়, বাড়তি শ্রমিক, অধিক সময় ও অধিক মূল্য বিনিয়োগ করেও কাঙ্খিত ফলন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার চাষীরা।
দ্রæত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের চাষীদের উন্নত পদ্ধতিতে রোপা আমন ধান চাষের জন্য প্রশিক্ষণ ও গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার হলে এই অঞ্চলে ধান চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমন চাষী, আকমল হোসেন, রবিউল ইসলাম, সোহেল রানা, আব্দুল লতিফ, মুকলু হোসেন, হাবিবুর রহমান দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকই আনন্দের সঙ্গে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে নিচু জমির চারা গাছ ডুবে গেছে। যদিও নিয়মিত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বীজতলা রক্ষার চেষ্ট করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ধানের চারা গজানোর সমস্য হয়। এতে করে অর্থ ও শ্রম দুটোই নষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন দৈনিক ইনকিলাব কে জানান, বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে অধিক বৃষ্টিপাত হলে চারা গজানোর অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বীজতলার সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে উঁচুস্থানে বীজতলা তৈরীসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।