রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা
পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় আসন্ন তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে অর্থের বিনিময়ে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও একাংশ। ফলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে মির্জাপুর ইউনিয়নের বাংলা মার্কেট এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পারুল বেগম ও কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতেরভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের কথা ছিল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়েনউদ্দীন মনোনয়ন দাবি করেন। গত ২৩ মার্চ মীর্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওমর আলী ও জয়েনউদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে তা বন্ধ করে দেয়। পরে আটোয়ারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে এই মনোনয়ন নিয়ে চলছে টান-টান উত্তেজনা। অনেক কর্মী টাকার জন্য গাঁ ভাসিয়ে দিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে গোপনে অর্থের বিনিময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মির্জা সরফরাজ আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিমসহ কিছু নেতাকর্মী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর আলীর নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করে বলে জানান জয়েনউদ্দীন। পরিক্ষিত ও জনপ্রিয় সমাজ সেবক প্রার্থী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়েনউদ্দীনকে বাদ দিয়ে গোপনে অর্থের বিনিমিয়ে প্রার্থী বাছাই করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। একই সাথে অবিলম্বে তারা মনগড়া প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের দাবি জানান। মির্জাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়েনউদ্দীন জানান, অধিকাংশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমার সাথে রয়েছেন। কিন্তু তারপরও অগণতান্ত্রিকভাবে গোপনে অর্থের বিনিময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য ওমর আলীকে স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড় ২- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাটের কাছে অভিযোগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সেখানে এই মনোনয়ন নিয়ে চলছে টান-টান উত্তেজনা। অনেক কর্মী টাকার জন্য গাঁ ভাসিয়ে দিয়েছে। চলছে ক্ষোভ ও । এছাড়া কারো ও মানসিকতা জোর করে মনোনয়ন নেওয়ার হুমকিও রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।