Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে চীন ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

স্পিকারের সাথে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার গবেষকদের বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমারের প্রতিবেশী প্রভাবশালী চীন ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষকরা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের অনাগ্রহে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তারা।
মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করে এই আশ্বাস দেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- মাইকেল চারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, খিন মাই অং, রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, মিচিমি মুরানুশি, ডরিন চ্যান প্রফেসর ফ্রেডরিক জন প্যাকের প্রমূখ।
সাক্ষাতকালে ড. মং জারনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তা বাস্তবায়নে মিয়ানমার যথেষ্ঠ আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমারের প্রতিবেশী প্রভাবশালী চীন ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে অতিথিদের অভিভাদন জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রæততর সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দ্রæত ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে- প্রয়োজন মিয়ানমারের আন্তরিকতা। তিনি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে অনুরোধ জানান।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি সম্মান রেখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্পিকার বলেন, স¤প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইতোমধ্যে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবর্ননীয় দূঃখ-দূর্দশা পরিদর্শন করে গেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জনকল্যাণে আত্মনিয়োগের আহ্বান
এদিকে গতকাল রোববার াজধানীর বিসিএস এডমিন একাডেমিতে আইন ও প্রশাসন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেছেন, সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তারা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চাকরিতে এসেছেন। সিভিল সার্ভিস রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি করে। দায়িত্ব পালনে বিষয়টি সকলকে মনে রাখতে হবে। স্পিকার বলেন, প্রশিক্ষণ জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। আর তথ্য সঠিক ও দ্রæত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। আইন ও প্রশাসন কোর্সের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তারা জাতি গঠন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি সংবিধান সমুন্নত রেখে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পদার্পন করেছে। ২০২৪ সালে সম্পূর্ণভাবে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। তিনি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে বিসিএস এডমিন একাডেমির লাইব্রেরীর মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিএস এডমিন একাডেমির রেক্টর মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, এমপি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ