রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাত্র এক বছর আগে নির্মিত সড়ক আবার সংস্কারে গচ্চা যাচ্ছে ৬৩ লাখ টাকা। ভুল পরিকল্পনা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ গচ্চা দিতে হচ্ছে সড়ক বিভাগকে। মাগুরা সদরের মীরপাড়া থেকে ধলহরা মোড় পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাগুরা-মহম্মদপুর ও মাগুরা-নড়াইলের জনগুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় গর্ত তৈরী হওয়ায় নির্মাণের দাবি করেন এলাকাবাসী। জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে গত অর্থ বছরের শুরুতেই ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে এই সড়কের উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়।
যার কার্যক্রম চলাকালিন সময়ের মধ্যেই গত বছর জুন মাসে এটি সংস্কারের নামে ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে নাম মাত্র কিছু সিলকোডের কাজ করা হয়। যা ওই এলাকার মানুষের তেমন কোন কাজেই আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। নিম্ন মানের কাজের কারণে দুই মাসেই রাস্তায় আবার আগের ভোগান্তি শুরু হয়।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করে এই টাকাটি গত বছর জুনে উত্তোলন করে নেন। ফলে সরকারের ৬৩ লাখ টাকার পুরোটাই গচ্চা যায়।
সরেজমিনে সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে এমডি মইনউদ্দিন বাশি নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেখানে সড়কের উভারলে এর মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করছে।
কিন্তু ৬৩ লাখ টাকা ব্যায়ে গত বছরের জুনে যে সংস্কার কাজ করা হয়েছিল তার কোন চিহ্নই সেখানে নেই। মইনুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, আমজাদ মন্ডলসহ একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন খুবই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেখানে ত্রুটিপূর্ণ সংস্কারের কাজটি করা হয়েছিল। যা ১ মাসের মধ্যেই উঠে গিয়ে আবার বড় বড় গর্ত তৈরী হয়।
যে কারনে জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। তারা প্রশ্ন তোলেন যেহেতু বড় ধরনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিকল্পনায় ছিল সেখানে মাত্র দুই-এক মাসের জন্যে সংস্কারের নামে কেন ৬৩ লাখ টাকা খরচ করা হলো। যা জনগনের কোন কাজেই লাগল না?
এ বিষয়ে মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, গত বছর ওই ৬৩ লাখ টাকার কাজ করা না হলে বর্তমান ১০ কোটি টাকায় যে কাজ করা হচ্ছে এর ব্যয় দ্বীগুণ হয়ে যেত। গত বছর সিল কোডের কাজ করার কারনে নতুন করে রাস্তা নষ্ট কম হয়েছে। এতে পিএমপি (প্রিয়ডিক মেন্টেন্সে ওয়ার্ক) কাজের খরচ কমে গেছে। পাশাপাশি বর্তমান কাজের মান অনেক সন্তোতজনক বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।