পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে অপচিকিৎসায় শিশু রাইফা খানের করুণ মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত দু’টি তদন্ত কমিটি যথাসময়েই প্রতিবেদন পেশ করেছে। এ মুহূর্তে উভয় তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা কার্যকরের মাধ্যমে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের দিকেই উৎসুক সবার দৃষ্টি।
গতকাল (শনিবার) বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ঘুরেফিরে সর্বত্র গুরুত্বের সাথে আলোচনায় উঠে আসে শিশু রাইফার মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রকাশিত বিষয়গুলো। তদন্ত চলাকালীন অন্যায় প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টায় চট্টগ্রামে চিকিৎকদের সংগঠন বিএমএ-ড্যাবের কতিপয় নেতার হুমকি, ধমকি, আস্ফালন, উসকানির তীব্র সমালোচনা হচ্ছে এখন চট্টগ্রামবাসীর মাঝে।
সবারই মুখে মুখে উচ্চারিত প্রশ্ন এবার তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতেই রাইফার মৃত্যুর জন্য দায়ী ম্যাক্স হাসপাতালের চরম অব্যবস্থাপনা এবং চিহ্নিত তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কী? চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ এই প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। তাদেরও দাবি শিশু রাইফার মতো আর কাউকে যাতে চিকিৎসকের চরম অবহেলা-গাফিরতির শিকার হয়ে মরতে না হয় এরজন্য দোষী তিন জন ডাক্তারসহ ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হোক দৃশ্যমান। হাসপাতাল ও ডাক্তারদের নিদারুণ অবহেলায় রাইফার মৃত্যুই হোক শেষ মৃত্যু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত ৪ জুলাই এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গঠিত অপর এক তদন্ত কমিটি ৫ জুলাই প্রতিবেদন পেশ করে। এতে ম্যাক্স হাসপাতালে শিশু রাইফার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিধান রায় চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অপর দুই ডাক্তার দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেবের চরম অবহেলা, ভুল-অপচিকিৎসার চিত্র বেরিয়ে আসে তদন্তে।
সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়, ‘শিশুকন্যা রাফিদা খান রাইফা যখন তীব্র খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়, তখন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের অনভিজ্ঞতা এবং আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ওই সময় থাকা সংশ্লিষ্ট নার্সদের এ রকম জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো দক্ষতা বা জ্ঞান কোনোটাই ছিল না। শিশু রাইফাকে অসুস্থতার জন্য ম্যাক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা পাওয়া- প্রতি পদে পদে তার অভিভাবকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তদন্ত কমিটির দেয়া চারটি সুপারিশে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত ম্যাক্স হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ম্যাক্সের আইওয়াশ
শিশু রাইফা খানের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উত্থাপনের শুরু থেকেই বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতাল সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই গেয়ে যাচ্ছিল। এবার দুই তদন্তে তাদের চরম অনিয়ম-অবহেলার চিত্র বেরিয়ে আসার পর ম্যাক্স দু’জন চিকিৎসককে বাদ দেয়ার কথা জানিয়েছে। যা ম্যাক্সের আইওয়াশ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালটি তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে দু’জনকে ডিউটি থেকে বাদ দেয়ার কথা জানায়। তারা হলেন ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে অবহেলার দায়ে চিহ্নিত অপর চিকিৎসক শিশু ‘বিশেষজ্ঞ’ ডা. বিধান রায় চৌধুরীকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভবিষ্যতে শুধুই কল না করার কথা জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।