পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের সাথে তিক্ত রাজনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়া ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ উদীয়মান পরাশক্তিটির জন্য প্রায় প্রতি মাসেই নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। হেলিকপ্টার প্রত্যাহার ও ভারতীয়দের ওয়ার্ক পরমিট না দেয়া বিষয়ে বিরোধের পর মালে এবার পাকিস্তানের সাথে বিদ্যুৎ খাতে নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সর্বশেষ এ ঘটনাটিকে ভারতের জন্য একটি চপেটাঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মালদ্বীপ রাষ্ট্রীয় বিদ্যুত কোম্পানি স্টেলকোর কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করেন। তারা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কর্মকান্ডে সহযোগিতা বিষয়ে পাকিস্তানের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছেন। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে যখন মালে ভারতীয়দের জন্য ওয়ার্ক পারমিট প্রদান বন্ধ রেখেছে। এর ফলে ভারতের তত্ত¡াবধানে নির্র্মীয়মান প্রকল্পগুলোর কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। যেমন পুলিশ একাডেমি নির্মাণ।
নয়া দিল্লীর কর্মকর্তারা এটা বোঝার জন্য গলদঘর্ম হয়ে উঠেছেন যে, স্টেলকোর সকল প্রধান প্রকল্পগুলো যখন ইতিমধ্যেই চীনা কোম্পানিগুলো দেখাশোনা করছে তখন মালে পাকিস্তানের কাছ থেকে কী চাইছে। একজন ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান তার নিজের অর্থনীতির ভগ্নদশার প্রেক্ষিতে মালদ্বীপের জন্য বেশি কিছু সাহায্য করতে পারবে না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন মালদ্বীপে ভারতের উপস্থিতি কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি ভারতের প্রভাব খর্ব করার জন্য ভারতের প্রতি বৈরি লোকদের মালদ্বীপে আনছেন।
মালদ্বীপ তার ভ‚খন্ডে একটি ডোর্নিয়ার নজরদারি বিমান মোতায়েন করার ভারতীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, তারা পাকিস্তানের কাছ থেকে অনুরূপ একটি বিমান পাওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছে।
একজন ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, একদিকে মালে ভারতকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হয়ে গেছে। অন্যদিকে ২০১৬ সাল থেকে ভারতের ডোর্নিয়ার বিমান গ্রহণের প্রস্তাব এড়িয়ে চলেছে। ডোর্নিয়ার বিমান মোতায়েন করা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ বরাবরই কূটকৌশল অবলম্বন করে চলেছে। আসলে ইয়ামিন মালদ্বীপে ভারতের কোনো উপস্থিতি চান না।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেন, মালে সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারছে না যে, একটি বিমান সংগ্রহই যথেষ্ট নয়, এ ধরনের জিনিসের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কারিগরি জনশক্তি ও অবকাঠামো সমর্থন প্রয়োজন। বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিং খরচ কে দেবে? এখন পর্যন্ত মালদ্বীপ তা ভারতের কাছ থেকে সবকিছু পেয়ে আসছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গোপন গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়বে যার লক্ষ্য হবে ভারত। শঙ্কার বিষয় যে, এ বিষয়টি উগ্রবাদ মোকাবেলায় সচেষ্ট মালদ্বীপের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।