বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
রাশিয়া বিশ্বকাপে আসা ইংল্যান্ড দলটির ওপর সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ ছিল না। দলটির ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়া নিয়েই আলোচনা বরং ছিল বেশি। কিন্তু ইংল্যান্ডই আজ রাতে সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলবে। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও বর্তমান শিষ্যদের মনে করিয়ে দিলেন, এমন সুযোগ তাদের সামনে আবার আসবে না।
রাশিয়ায় আসা দলগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটির অভিজ্ঞতা সবচেয়ে কম। অনেকে মনে করেন এই দলটি ২০২০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের সময় ছন্দের চূড়ায় উঠবে। কিন্তু আইটিভি নিউজকে সাউথগেট জানান এভাবে ভাবাটা তাদের জন্য ভালো হবে না, ‘যদিও আমাদের দলটি দুই বছরের মধ্যে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করে আরও ভালো হয়ে উঠবে কিন্তু হয়তো খেলোয়াড়দের চোট ও অন্য কিছুতে ভাগ্য অত সহায় হবে না। আমরা এই সুযোগ আবার পাব না। যদি আমরা বেশি উচ্ছ¡সিত হতে শুরু করি, তাহলে এটা বিপজ্জনক হবে কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি তাতে আমি খুশি।’
সুইডিশদের যদি ইংল্যান্ড হারাতে পারে তাহলে সেমি-ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে। শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার বিপক্ষে নাটকীয় জয়ের পর ইংল্যান্ডে সমর্থকরা বাঁধভাঙা উল্লাস করেছিল। সাউথগেটের দলটিকে নিয়ে এখন স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছে সমর্থকরা। ইংল্যান্ডে হওয়া উৎসবের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে দেখেছেন খেলোয়াড়রাও। কোচ সাউথগেটও ইংলিশ সমর্থকদের মনে দল প্রভাব ফেলায় খুশি, ‘সবাইকে আনন্দচিত্তে কাজে পাঠাতে পারা এবং মানুষের জীবনের জন্য ভিন্ন কিছু করতে পারাটা অনেক আনন্দের। ফুটবল একটা দেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে এবং আমি আনন্দিত যে আমরা মানুষকে আনন্দ দিচ্ছি, বিনোদন দিচ্ছি এবং আমরা সেটা চালিয়ে যেতে চাই।’
কুঁচকির চোটে পড়া স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডিকে আজ ইংল্যান্ড নাও পেতে পারে। চোট নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে অ্যাশলে ইয়ং এবং কাইল ওয়াকারকে নিয়েও; তবে এ দুজনের চোট মারাত্মক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।