Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগড়-ফেনী-ঢাকা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন

রামগড় (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ৩:০১ পিএম

দেশের প্রধান প্রধান সমতল দেশের সাথে খাগড়াছড়ির পার্বত্যাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী রামগড় ফেনী সড়ক। সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড়- ফেনী সড়কে ৪ টি পাকা ও ৩বেইলি ব্রিজ এ ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী প্রাণ হাতে নিয়ে সড়ক-সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
মহাসড়কের রামগড় পৌরসভার দশ থেকে পনের কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোথাও লাল পতাকা কোথাও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে কোন রকম দায়িত্ব পালন করছে। জানা যায়, ১৯২০ সালে প্রাচীন রামগড় মহকুমা শহরকে উন্নয়নের লক্ষ্য সমতল জেলার সাথে পার্বত্যাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের জন্য ১৯৬০-৬১ সালে রামগড় করেরহাট সড়কটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ের নির্মিত পাকা এবং বেইলি ব্রিজগুলো এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচল করছে। দেখা যায়, ৪টি পাকা ও ৩টি বেইলি ব্রিজের বর্তমান অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। এর মধ্যে বাগান বাজার, কালাপানি, বালুটিলা, ভাঙা তাওয়ার ব্রিজগুলির অবস্থা পদে পদে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জালিয়া পাড়া থেকে রামগড় পর্যন্ত প্রায় বাইশ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে কিন্তু বর্ষার জন্য ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। তিনি আরো বলেন, রামগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে মহামনি নামক এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে সড়কের বড় গর্তগুলো কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। এ দিকে রামগড় বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সফিকুর রহমান, কামাল হোসেন, বলেন প্রায় ব্যবসার কাজে ফেনী যাওয়া-আসা করতে হয় নিজের প্রাণ হাতে নিয়ে। রামগড় বাস চালক সমিতির সদস্য কালাম হোসেন , কালা বাবু সহ অনেকে বলেন দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি দিন যাবত আমি বাস চালাচ্ছি । রামগড় ফেনী-ঢাকা প্রধান সড়কসহ এই ব্রিজগুলির তেমন কোন উন্নতি হয়নি প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে রামগড় ফেনী সড়কে বাস চালাচ্ছি প্রাণ হাতে নিয়ে। এদিকে পরিবহন মালিকেরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন,
যাত্রীদেরও ভোগান্তির শেষ নেই। পরিবহন মালিক ও জনগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ