পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দু’জনেরই একবার করে নগর পিতার আসনে বসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ দুজন বড় দু’দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। ভোটর মাঠে এ দুজনকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে ধরা হচ্ছে। কেননা দুজনই বড় দলের প্রার্থী। এবার নির্বাচনের প্রতীকও দলীয়। আগে মেয়র ছিলেন আওয়ামীলীগের খায়রুজ্জামান লিটন। পরের দফায় বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। দু’বারই এরা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। দুজনেই জয় পরাজয়ের স্বাদও অনুভব করেছেন। এবারো তারা নির্বাচনের মাঠে। শুরু হয়ে গেছে একে অপরের বিরুদ্ধে বাক্যবান নিক্ষেপ। সম্পদের বিবরনীর পর এখন আলোচনায় এসেছে তারা যখন মেয়র ছিলেন তারা কে কত নগরীর উন্নয়ন করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলছেন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রায় পাঁচ বছরে রাজশাহীর চেহারা বদলে দিয়ে ছিলেন। তার সময় উন্নয়নের ছোয়া লাগে প্রতিটি ক্ষেত্রে। রাস্তাঘাট, পানি, বিনোদন, বহুতল ভবন সবই তার সময় করা। রাত্রিকালীন আবর্জনা পরিস্কার কর্মসূচি তার সময়ে শুরু হয়। পদ্মার তীরের চেহারা বদলে যায়। শিশু হাসপাতাল, রক্তকেন্দ্র সব কিছুতেই তার ছোঁয়া রয়েছে। তার আরো অনেক পরিকল্পনা ছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি ঝকঝকে তকতকে পরিচ্ছন্ন নগরী রেখে এসেছিলেন। এখন দুর্গন্ধময় এ নগরীর নাম রাজশাহী। এবার তিনি জনগণের রায় পেলে আবারো বদলে দেবেন রাজশাহী। আগামী ত্রিশ বছরের জন্য রাজশাহীর যত উন্নয়ন তার সব করবেন। ধ্বংস স্তুপ থেকে টেনে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাবেন। লিটন বলেন, আমি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রাজশাহীর মানুষের সেবা করে যেতে চাই। স্বপ্নের রাজশাহীকে বাস্তবে রুপ দিতে আবারো নগরবাসীর রায় চাই।
সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলছেন তার সময়েও কম উন্নয়ন হয়নি। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও আড়াই বছরের বেশী সময় কারাগারে মামলা আর আদালত পাড়ায় কাটাতে হয়েছে। আইনী লড়াই করে নগরবাসীর রায়ের মর্যাদা তিনি ফিরিয়ে এনেছেন। রাজরোষের কারনে উন্নয়ন বরাদ্দ তেমন পাননি। তারপরও চেষ্টার কমতি ছিলনা। রাজশাহীর উন্নয়ন নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যেচার হচ্ছে বলে দাবি করে বলেন সিটি এলাকায় নতুন করে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার ড্রেন নির্মাণ নান্দনিক ফুটপাত নির্মাণ বজ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও আধুনিকরন করেছি। আলোকায়ন, সবুজায়ন, ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কার, শিশু, মা ও দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা কবরস্থানের সংস্কার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার বিশেষ করে নগরীকে পর্যটন বান্ধব করার উদ্যেগ নিয়েছি।
বুলবুল বলেন, যত উন্নয়ন হয়েছে তা বিএনপির আমলে। বিশেষ করে মিজানুর রহমান মিনু টানা সতের বছর মেয়র ছিলেন। মূলত তার সময়ে নগরীর উন্নয়ন শুরু হয়। তিনিই আধুনিক রাজশাহীর রুপকার। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে বহুক্ষেত্রে স্বীকৃতিও পান। তারই ধারাবাহিকতায় তিনিও কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু বাধাগ্রস্ত করা হয়। এসব বিষয়গুলো নির্বাচনে ভোটাররা অবশ্যই বিবেচনায় আনবে বলে মন্তব্য করেন বুলবুল।
নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নির্বাচনী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্র ঝুকিপুর্ন সেগুলোর তালিকা তৈরীর জন্য মহানগর পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহে আগে সেগুলো প্রকাশ করা হবে। ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এ জন্য কেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু মোহাম্মদ আনোয়ার ফুয়াদ, র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম, বিজিবি-১ এর অধিনায়ক শামীম মাসুদ আল ইফতে খায়ের, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, উপ-নির্বাচন কমিশনার ও সিটি নির্বাচনের রিটানিং অফিসার আমিরুল ইসলাম, জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনে সহকারি রিটানিং অফিসার আতিয়ার রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।