Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২০

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

 গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা এলাকাবসীর কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার গোলাম মোস্তফা, কনস্টেবল আব্দুল মাজেদ তুহিন, রফিকুল ইসলাম মজিব ও ১৬ গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গোবরা গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন। তাদের ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাস্পাসে অবস্থান নেয়। পরে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়। পরে গোপালগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি দুপুর ২ টার দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে।
শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানানয়, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা গ্রামের ১৫/১৬ জন যুবক গোবরা গ্রামে ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস লেকে গোসল করতে প্রবেশ করে। তারা প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে গোসল শুরু করে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্র ঘটনার প্রতিবাদ করে। পরে বহিরাগতরা ওই ২ ছাত্রকে মারপিট করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বিশ্বদ্যিালয়ের সামনের বেলায়েত হোসেন মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সোবহান সড়কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। ৭ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী এক পর্যায়ে বিশ্বদ্যিালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ভাংচুর ও শিক্ষার্থীদের মারপিট করে। এতে শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের টহল সেডে আগুন দেয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী মোটর সাইকেল সহ বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলেও স্থানীয়রা জানায় ।
গোপালগঞ্জের এএসপি সার্কেল মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোপালগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ