Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এসডিজি বাস্তবায়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এমডিজির মতো এসডিজি যথাসময়ে বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে এসডিজি অর্জনের টার্গেট বাস্তবায়নে এ্যাকশন প্ল্যান তৈরী করে পরিকল্পিত ও সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যথা সময়ে এমডিজি অর্জন করে বাংলাদেশ জাতিসংঘে পুরষ্কৃত হয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য ১৭টি গোলস, ১৬৯ টি টার্গেট এবং ২৪১টি ইন্ডিকেটর নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এসডিজি অর্জনে কাজ শুরু করে। প্রথম মেয়াদের কাজ শেষ হয়েছে ৩০ জুন, ২০১৮ তারিখ। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল চলবে মধ্য মেয়াদের কাজ এবং ২০২০ থেকে ২০৩০ সাল চলবে দীর্ঘ মেয়াদের কাজ। এসডিজির মধ্যে সুনির্ষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সকল ধরনের দারিদ্র দূরীকরণের মাধ্যমে সবশ্রেণীর মানুষকে অন্তর্ক্তুক্ত করে সুষম উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে যে সকল টার্গেট নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে, সেগুলো সফল ভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট আয়োজিত তিনদিনব্যাপী এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের প্লিনারী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশে^ ৩২তম অর্থনৈতিক শক্তি। এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২৮তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিনত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সংগ্রাম করেছিলেন। একটি বাঙ্গালী জাতির মুক্তি অর্থাৎ দেশের স্বাধীনত, অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দেশকে সোনার বাংলায় পরিনত করা।
বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা বিনির্মাণের কঠোর ভারে কাজ করে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৭.৬৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মানুষের মাছাপিছু আয় এখন ১৭৪৫ মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে পরিনত হবে এবং ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি ভুক্ত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭২-১৯৭৩ সালে ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, এ বছর ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজট পাস করা হয়েছে। একসময় ছিল বৈদেশিক সাহায্যের উপর বাজেট প্রনয়ন করা হতো, আজ আমরা নিজস্ব অর্থেই বাজেট ঘোষণা করছি। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৩টি পণ্য পাট, চা ও চামড়া রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮ কোটি টাকা, গতবছর বাংলাদেশ ৭৭২টি পণ্য ১৯৯টি দেশে রপ্তানি করে আয় করেছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যারা বাংলাদেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি ও বিশে^ দরিদ্র দেশের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, আজ তারাই বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের হার ২৪.৮ ভাগ এবং হত দরিদ্র মানুষের হার ১১.৯ ভাগে নেমে এসেছে। এসডিজি অর্জনের মধ্যদিয়ে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশের নীচে নেমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্লানিং কমিশনে জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের সিনিয়র সচিব ড. সামছুল আলম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ