পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর উজানে টানা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। চীন-তিব্বত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে অতি বর্ষণে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আবার উত্তরাঞ্চল ও বৃহত্তর সিলেটে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়ে গেছে। এতে করে পানি বাড়ছে দেশের প্রধান নদীগুলোতে।
গতকাল (সোমবার) পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্র জানায়, ৯৪টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের মধ্যে ৫৪টিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আগের দিন (রোববার) পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায় ২৮ পয়েন্টে। গতকাল বৃহত্তর সিলেটের নদ-নদীগুলোর ৬টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে সুরমার কানাইঘাটে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে।
উত্তর জনপদের নদ-নদী প্রবাহের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার নিচে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেমি নিচে, ঘাগট নদী গাইবান্ধায় ১৭১ সেমি নিচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৯০ সেমি ও চিলমারীতে ১৩৬ সেমি নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদের পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে ১০৩ থেকে ১৭৪ সেমি নিচে অবস্থান করছে।
দেশের উত্তর জনপদের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও ঘাগট নদ-নদীসমূহের পানির সমতল ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীগুলোতে বাড়ছে পানি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানির সমতল বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা ও এর সাথে যুক্ত নদীগুলোর পানির সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ঘাগট, সুরমা ও কুশিয়ারা নদ-নদীগুলোতে পানি দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর পাশ্ববর্তী ভারতীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানের অববাহিকায় চেরাপুঞ্জিতে (আসাম) ২৩২ মিলিমিটার। ভাটিতে বাংলাদেশে এ সময় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে- উত্তর জনপদের তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ১১৮ মিমি, কুড়িগ্রামে ৯২.৫ মিমি, পঞ্চগড়ে ৭৫.৫ মিমি, গাইবান্ধায় ৫৭ মিমি, নেত্রকোনার জারিয়াজঞ্জাইলে ৭৫ মিমি এবং সিলেট বিভাগের ছাতকে ৩০৮ মিমি, জাফলংয়ে ২৭২ মিমি, লালাখালে ১৩৩ মিমি, মহেশখোলায় ৯৯.৫ মিমি, দুর্গাপুরে ৮৩ মিমি ও সিলেটে ৮২ মিমি।
ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, গতকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মনিপুর এবং হিমালয় পাদদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে অতিবৃষ্টি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।