মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আফগানিস্তানে প্রায় ১৭ বছরের যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে তালেবানদের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা জঙ্গি গ্রæপটির উপর আরও চাপ দেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহŸান জানিয়েছে। শনিবার কাবুল সফরের সময় এ মন্তব্য করেন মার্কিন দূত অ্যালিস ওয়েলস। তালেবান এবং সরকারী বাহিনী উভয়ের তরফ থেকে অপ্রত্যাশিত অস্ত্রবিরতি ঘোষণার দুই সপ্তাহ পরে কাবুল সফরে আসলেন এই মার্কিন দূত। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ওয়েলস রয়টার্সকে বলেন, “আমি মনে করি এই অস্ত্রবিরতি সব পক্ষের জন্য রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার একটা পথ তৈরি করে দিয়েছে”। “তালেবানদের জন্য আলোচনায় না আসাটা ক্রমেই অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে”।তালেবানরা এ যাবত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে এসেছে। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তালেবানরা, যে প্রস্তাব ওয়াশিংটন সব সময় নাকচ করে এসেছে।
আলোচনায় বসার জন্য তালেবানদের যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো আফগানিস্তান থেকে বিদেশী বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেয়া। ওয়েলস বলেন, যেহেতু আফগান সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই শর্তহীনভাবে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তাই বল এখন তালেবানদের কোর্টে। তিনি বলেন, “এখন তালেবান নেতাদের পালা। তারা আফগানিস্তানে বাস করছেন না। এরাই রাজনৈতিক সমাধানের জন্য দর কষাকষির পথে অন্তরায় হয়ে আছে”।
গতকাল সোমবার পাকিস্তানে আলোচনায় বসার কথা ওয়েলসের। তিনি বলেন, তালেবানদের উপর চাপ দেয়ার ইসলামাবাদকে আরও ভূমিকা রাখতে হবে যাতে তাদেরকে আলোচনার টেবিলে নেয়া যায়। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছেৃ কিন্তু ইসলামাবাদের দিক থেকে এখনও আমরা টেকসই এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখিনি”।
তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি আমাদের সাথে কাজ না করে, তাহলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করা খুবই কঠিন হবে”।
যুক্তরাষ্ট্র জানুয়ারিতে পাকিস্তানকে দেয়া সামরিক সহায়তা কাটছাটের পর থেকে তাদের উপর চাপ দিয়ে আসছে, যাতে ইসলামাবাদ চরমপন্থীদের দমনের জন্য আরও জোরেসোরে অভিযান চালায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে তালেবানদের সহায়তা করছে এবং তাদেরকে পাকিস্তানের ভেতরে নিরাপদ আশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু ইসলামাবাদ বরাবর এ অভিযোগ নাকচ করে এসেছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।