পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যা ঘটেছে তা অমানবিক বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার এর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে। এ উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ কাজ করছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, আসলে য়ে পরিমানে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো সাহায্য বাড়ানোর আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকারের জন্য তিন বিলিয়ন ডলার ও রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়ার কথা ঘোষনা করেন।
রোহিঙ্গা ক্যম্প পরিদর্শন করে এই দুই বিশ্ব নেতা দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ডি-৫ ব্লকে প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন। এসময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য দুই নেতা বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কক্সবাজারে আসেন।
সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে তারা কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে দুই অতিথিকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজারের সাগর পাড়ের অভিজাত হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে।
সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ব্রিফ করেন। এরপর ৯টা ৪০ মিনিটে তারা হোটেল থেকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হন। বিভিন্ন ক্যাম্প ঘুরে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের সঙ্গে আলাপ শেষে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট কুতুপালং রোহিঙ্গ ক্যাম্পে মিডিয়া কর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের আগমনকে ঘিরে কক্সবাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি বাড়তি তিন হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে তাদের চলাচলের পথে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ব্র্যাক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নারী ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা। এ ছাড়া লম্বাশিয়া ও মধুরছড়ায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাবসতিও ঘুরে দেখেন।
সকাল ১১ টা থেকে দুই ঘন্টা মত দুই বিশ্ব নেতা আলাদাভাবে ঘুরে ঘুরে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কথা শুনেন। এসময় রোহিঙ্গগারা জানান, তাদের উপর মিয়ানমার সেনাদের বর্বর নির্যাতনে কথা। আরো জানান, তারা নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও স্বাধীনতাসহ তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অতিথিরা দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ট্রানজিট ক্যাম্পের এক্সটেনশন-৪, নিবন্ধিত সি-ব্লক ও ডি-৫ ব্লকের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় ইউএনএফপিএ-এর নারী কেন্দ্রে ১০-১৫ জন নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ৫টি প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে ডি-৫ ব্লকে নির্যাতিত ৫০ জন রোহিঙ্গা নারী ও ১০০ জন রোহিঙ্গা পুরুষের সঙ্গে আলাপ করেন।
দুপুর পৌনে ৩টার পরে একই ব্লকে প্রেস ব্রিফিং এ মিডিয়া কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
এর পরে কক্সবাজার শহরে ফিরে আসেন। আর সাড়ে ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও এনজিও কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। বিকেল সাড়ে ৫টা দিকে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
কক্সবাজার ব্যুরো
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।