বাংলা সন ও নববর্ষ
বাংলাদেশের একটি নিজস্ব সন আছে, যা ‘বাংলা সন’ হিসেবে অভিহিত। এই সনের প্রথম মাস বৈশাখের
জুবাইদা গুলশান আরা
বসন্ত দিনের শেষ প্রান্তে নতুন দিনের আবাহনী নিয়ে চৈত্রের খেয়ালি বাতাস সবাইকে চকিত করে তোলে। মনে করিয়ে দেয়Ñ একটা বছর তার পুরনো হিসাব-নিকাশ শেষে নতুন দিনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
হ্যাঁ। বুঝি বা সেই জন্যই চৈত্রের শেষ দিনগুলো এলোমেলো খ্যাপামিতে হু হু করে বেড়ায়। গাছপালা, পাতা ঝরিয়ে প্রায় শূন্য হয়ে এসেছে। ঝরা পাতার উড়ে যাওয়া অথবা ঝরা পাতার উপরে হেঁটে গেলে অদ্ভুত শব্দ ওঠে। কবির ভাষায়, ‘ঝরা পাতার মঞ্জীর ধ্বনি’। আসলে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের প্রাণের বন্ধন চিরকালের। প্রতিটি ঋতু পরিবর্তনের আলাদা বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে খুশি হয় মানুষ। ঠিক তেমনই একটু যদি লক্ষ্য করি, দেখব প্রতি ঋতু একেকটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে মানুষের দরজায় এসে দাঁড়ায়। চৈত্রের বিবাগী বাতাসের নিঃসঙ্গ দীর্ঘশ্বাস যেন মনে করিয়ে দেয়, বছরের শেষ প্রান্তে আমরা। এখন বৈশাখের প্রচ- শক্তিমান অস্তিত্বকে দেখতে পাব। প্রকৃতি নির্ভুল নিয়মে তার আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয়।
তাই বঙ্গাব্দ ১৪২২, ইংরেজি ২০১৫ সালের সাথে হাত ধরে দাঁড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্যে প্রস্তত আমরা।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্য এবং উৎসবপ্রিয় জাতি। অদল বদল কিছুটা হলেও মূল বিষয়টি আনন্দ ও গৌরবের। প্রকৃতির সঙ্গে আত্মীয়তা দেশের শিকড়কে চিনিয়ে দেয়। দেশ এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়। আমরা প্রতিনিয়ত সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমাদের মুরব্বিরা এক সময় বলতেন, ‘অমুক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির সিদ্ধান্ত এখন নেব না। নতুন বছর শুরু হোক তখন দেখা যাবে।’ অথবা কোনো নতুন কাজে হাত দিতে হলেও নতুন বছরের কথা মনে রেখে তারা মতামত দিতেন। যদিও দফতর সংক্রান্ত কাজকর্ম সবই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী চলে। তবে পাশাপাশি বাংলা দিনপঞ্জির গুরুত্বও যথেষ্ট। বিয়েশাদি, জন্ম, পত্রিকা, জমিজমা সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মে বাংলা বর্ষপঞ্জি ব্যবহার হয়ে আসছে।
সালতামামীর হিসেব নিতে গেলে অবশ্যই আমাদের ফিরে তাকাতে হয় বিগত বছরের ঘটনাক্রমের দিকে। মানুষ সর্বদাই সামনের দিকে তাকাতে চায়। তার কর্মপদ্ধতি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা থাকে। যা আমরা ফেলে আসা বছরে করতে পারিনি, সেই আকাক্সক্ষাগুলো আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রথমেই মনে আসে, আমাদের নবনির্বাচিত সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের আন্তরিক কর্মপদ্ধতির কথা। আমরা যে শহরে থাকি, তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মশা-মাছির উপদ্রব, যানজটের ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আমাদের দুঃখের কারণ। তবে বিগত বছরে দুই সিটি মেয়রের আন্তরিক প্রয়াস ছিল লক্ষ্য করার মতো। ঝাড়– হাতে নিজে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে কাজে অংশ নেওয়ায় সব সাধারণ মানুষ স্বস্তির সঙ্গে নিঃশ্বাস নিয়েছে। এই আন্তরিক প্রয়াস মানুষকে সুখী করেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বও মনে করিয়ে দিয়েছে। এ জন্যই ভাবতে ভালো লাগে যেÑ শহর, নগর, বন্দর সবখানেই আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা সর্বজনীন হলে সব দিক রক্ষা হয়। যানজটের ভয়াবহতা আমাদের দেশের সর্বত্র এক দারুণ সমস্যা। ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যাতায়াত ব্যবস্থার কিছুটা হলেও তার সমাধান হতে পারে। ফলে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। বহু বছর ধরেই যে উড়ালসড়ক বা ফ্লাইওভার আমদের কল্পনার মধ্যে ছিল, তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মগবাজারের ফ্লাইওভার একেবারে তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় অবধি যাচ্ছে। যার ফলে যন্ত্রচালিত গাড়িগুলোর যাতায়াত অবাধ হয়েছে। অন্যদিকে একই এলাকায় হাতিরঝিলের সুদৃশ্য সেতু, বিনোদন স্পট ও নিচের প্রবহমান জলধারা দুই-ই চমৎকার। তবে এর জন্য সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার প্রয়োজন রয়েছে। মৌচাক ফ্লাইওভার এখনো পূর্ণভাবে চালু হয়নি বিধায় যানজটের ভয়াবহতা সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। তবে এও সত্যি যে, উন্নয়নের বিশালতার মধ্যে মাঝে মাঝে আকস্মিক দুর্ঘটনাও ঘটে যায়, যা কাম্য নয়। নির্মিয়মাণ ফ্লাইওভার থেকে ছুটে আসা লোহার আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে, যা বেদনাদায়ক।
তবুও মানুষ মাত্রেই আশায় বসতি করে। ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টায় অকল্যাণকে সরিয়ে কল্যাণের আবাহন জানায়। সেই কল্যাণের স্বপ্ন দেখি বলেই তো বছরের প্রথম দিনের আবির্ভাবকে একেবারে জড়িয়ে নেওয়া ভালোবাসার ভোরে।
গত বছর যাত্রা শুরু করেছিলাম নানা স্বপ্ন নিয়ে। বলতে গেলে গত বছরটা মেয়েদের বছর বলা যেতে পারে। খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানের ফলাফল নিয়ে প্রথম স্বর্ণ বিজয়িনী নারী হলেন মাবিয়া আখতার সীমান্ত। ১২তম এসএ গেমসে গৌহাটির ইনডোর স্টেডিয়ামে। ৮২ কেজির বিশাল ভারোত্তোলনে শ্রীলঙ্কান প্রতিযোগীকে পেরিয়ে স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন মাবিয়া খাতুন সীমান্ত। ওই একই ইভেন্টে রৌপ্যপদক জয় করেন ফুল প্রতি চাকমা। এসএ গেমসে সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক ও ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক সাঁতারে দুটি স্বর্ণপদক জয় করেন বাংলাদেশের মাহফুজা খাতুন শিলা। এসএ গেমসে মেয়েদের ফুটবল প্রতিযোগিতায় নেপালকে হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার আশা ছিল তাদের। তবে তা হয়নি। নেপালকে হারালেও স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবু বাংলাদেশের জন্য আমরা গর্বিত বোধ করি।
বিরাট বিশ্বের সদস্য হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু সমস্যা, পাহাড় সমান অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবেলা করে আজ এ দেশ প্রতি পদে পদে এগিয়ে চলার যুদ্ধে নিয়োজিত।
শিশুদের একটা বড় অংশ অন্যান্য বহু দেশের মতো অটিজমের কারণে বেড়ে ওঠার পথে বাধা। তবে আমাদের সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে শিশুদের অটিজমের মোকাবেলায় নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং শিক্ষায় নানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিছুটা দেরিতে হলেও বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে।
এভাবেই আমরা এগিয়ে চলেছি। বিগত বছরে কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে হাইওয়ের দুর্ঘটনা যে কোনো সীমা মানে না, তাতে কোনো দ্বিমত নেই। বিশেষত বাসের ধাক্কায় মৃত্যু যেন কোনোমতেই কমছে না।
নবর্বষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মনে পড়ছে, বিগত নববর্ষের উৎসবে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা। মেয়েদের প্রতি অবমাননা নববর্ষের আয়োজনের মুখে বেদনাবহ কলঙ্কলেপন করেছিল। একটা কথা অবশ্য না বললেই নয়। বিগত বছরে নারীর প্রতি ভয়াবহ আক্রমণ যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এ কথা সত্য যে, মেয়েরা আমাদের অর্থনৈতিক আয়ের একটি বিরাট অংশকে সচল রেখেছে। শুধু গার্মেন্ট নয়, বিভিন্ন কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মেয়েরা বিপুল পরিমাণে কাজের অংশীদার। ফসল উৎপাদনে নারী প্রাচীনকাল থেকেই যুক্ত ছিল। এখন অর্থনৈতিক প্রয়োজনে প্রায় সবরকম কার্যপদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে নারীর কর্মক্ষেত্র প্রসারিত ও বহু বিস্তৃত হয়েছে। অথচ তার নিরাপত্তার কথা কেউ ভাবে না। অবশ্য এর পেছনে কারণ আছে। বর্তমান সময়ে মেয়েরা যেভাবে সর্বত্র আক্রান্ত হচ্ছে সেটি আগে কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। ধারণা করি এবং দৃঢ় বিশ্বাস থেকে বলছি, বিনোদন সংস্কৃতির প্রচ- আগ্রাসন এর জন্য দায়ী। আগে দেখতাম, সিনেমা বা বিনোদনের ব্যাপারে সেন্সর বলে একটা বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হতো। সমাজ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক বিবেচিত হলে সেসব চলচ্চিত্র বা নাটক প্রচারের ছাড়পত্র পেতো না। কিন্তু যখন থেকে মুক্ত আকাশ সংস্কৃতি আমাদের দেশে এসেছে তখন থেকে ভয়াবহ আগ্রাসন প্রায় ইয়াবার মতোই আক্রমণ করেছে আমাদের। এই নিঃশব্দ ঘাতক আমাদের ঘরে ঘরে নিয়ে এসেছে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স। মা-বাবা নিজেরাই নিজেদের সন্তানদের হত্যাকারী এখন। স্বামী স্ত্রীকে অথবা স্ত্রী স্বামীকে নির্দ্বিধায় হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। শিশু হত্যার একেকটি সংবাদ যেন বীভৎসতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সমাজ যেন এক পৈশাচিক প্রভাবের পরীক্ষাগার। মানুষের মধ্যে থেকে যেন দয়ামায়া আর বিবেক বিদায় নিয়েছে। অথচ এই দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে অন্যকে বা বিপন্ন মানুষকে রক্ষা করার জন্য ঝাঁপ দিয়ে ছুটে গেছে। অথচ এই মুহূর্তে ঘটে যাওয়া দেশের ঘটনাবলী মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, অপরাধের শাস্তির জন্য প্রচলিত আইন যথেষ্ট নয়। তার বিশ্লেষণ ও সংশোধন প্রয়োজন। অথচ আমদের দেশ সুন্দরের প্রেমিক। ঋতুভিত্তিক কোনো বিষয় হোক কিংবা সামাজিক বিষয় সব মানুষই আনন্দে তার অংশীদার হতে প্রস্তুত। আবেগ ও ঘৃণা তাদের মধ্যে একই সঙ্গে বাস করে। সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে কত নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে যায়, যা আমরা চিন্তাও করতে পারি না। বলা চলে, এ এক ধরনের সময়ের পরীক্ষা। এ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে আমাদের। সবচেয়ে বড় বলে যা মনে হয় তা হলোÑ তারুণ্যের মূল শক্তি হলো তাদের বিবেক। সেই তরুণদের কাছেই আমাদের আকাক্সক্ষাÑ সততার সঙ্গে সময়ের অনভিপ্রেত ঘটনার মোকাবেলা করতে হবে। লড়তে হবে অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে নতুন করে যুদ্ধে যাওয়ার চিন্তা। এ যুদ্ধ হলো অনাচারের বিরুদ্ধে, নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে। মনুষ্যত্বের অবমাননার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কিছু অর্থনৈতিক অনিয়ম অর্থাৎ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সারাদেশ দুঃখে ও বিবেক দংশনে পুড়ছে। সামনে নতুন বছরের কত আশা-আকাক্সক্ষায় ঘেরা সাধ। তাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য যা কিছু অনিয়মতান্ত্রিক ঘটছে, তাকে আমরা দূর করতে পারি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। ভেবে দেখলে দেখব, স্মৃতির সঞ্চয় আমাদের প্রাণের শক্তির উৎস। শৈশব থেকে আজ অবধি আমরা নববর্ষকে নিয়ে দিন শুরু করি। বছরের প্রথম দিনে ফুলের মালায়, আত্মীয়-বন্ধুদের নিয়ে গানে গানে ভরে তুলি বছরের প্রথম ক্ষণ। তবে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, সবটাই কেবল আনন্দ-উৎসব নয়। সব প্রথাগত আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি রয়েছে নিয়মানুবর্তিতা। আত্মীয়-স্বজনের সৌহার্দ্য কামনা করা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাকি বা বকেয়ার হিসাব মেটানো, শিশু কিশোর ও দরিদ্রজনের মুখে হাসি ফোটানোÑ এগুলোও আমাদের বছরের শুভারম্ভ করার জন্য মনে রাখা প্রয়োজন।
এই মুহূর্তে আমি দেখছি মানুষ তার দিনপঞ্জিতে কত রকম বেহিসেবি ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলা করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যায় মৃত্যুর আকস্মিক আক্রমণে শিশুর জীবন থেকে শুরু করে মসজিদের কর্মী পর্যন্ত কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। জীবনের এই বেদনাদায়ক সত্য আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, দুর্বৃত্তায়ন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গভীর বেদনায় কামনা করি, আজ যেভাবে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিকার কামনা করছেন, প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছেন, তা এক সময় কার্যকরী হবে। মানুষ বছরের প্রথম দিনে কেবল উচ্ছৃঙ্খল আনন্দ বিলাস ও বেদনার্ত ঘটনার শিকার হবে না। শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যে শান্ত গম্ভীর আবাহনে বছরের প্রথম দিনটি আমাদের জীবনধারাকে পবিত্রতায় সুন্দর আনন্দে আপন করে নেবে। চৈত্রের বিদায়ী অপরাহ্নে সেই শুভ সূচনাকেই আহ্বান জানাইÑ ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ। সকল তমসা বিদীর্ণ করে নির্মল প্রকাশে এসো তুমি। আমাদের দুঃখ দিনের সাধনা সফল হোক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।