পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে দ্রæত অর্থ পরিশোধের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদালত বলেছেন, অর্থ পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তলব করা হবে। গতকাল রোববার আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতিসৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন। মুন সিনেমা হলের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। এর আগে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে ৯৯ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশদেন আপিল বিভাগ। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে তিন কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে মামলার পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হয়েছিল। সেই সিনেমা হলের জমি এবং তার ওপর গড়ে তোলা বর্তমান স্থাপনার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত।ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, মুন সিনেমা হলের মূল মালিক ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড কোম্পানিকে তিন কিস্তিতে এই ৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পরিশোধ করবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। প্রথম কিস্তিতে দুই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা, পরের দুই মাসের মধ্যে আরো ২৫ কোটি এবং বাকি টাকা আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হবে। এর আগে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি মুন সিনেমা হলের জমি এবং তার ওপর গড়ে তোলা বর্তমান স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে একজন অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ প্রকৌশলীকে দিয়ে হলের সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় মূল্য নির্ধারণ করে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর দেয়া প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত মূল্য পরিশোধের এই আদেশ দেন। মুন সিনেমা হলের মালিককে মূল্য পরিশোধ না করায় আদালত অবমাননা করেন।
পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে এক সময়ের মুন সিনেমা হলের মূল মালিক ছিল ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা হয় এবং পরে শিল্প মন্ত্রণালয় ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।