Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জ্যান্ত রোহিঙ্গা শিশুদের পুড়িয়েছে সেনারা

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের সরেজমিন প্রতিবেদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত হত্যাকাÐ আর মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহ ও নতুন নজির পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের এক সরেজমিন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাখাইনে গলা কেটে কিংবা গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর রোহিঙ্গা শিশুদের লাশগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। মিররের বিশেষ প্রতিনিধি টম প্যারোর সরেজমিন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা জেনেছেন। ফাতেমা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা নারীর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তুলে এনেছেন সেই নৃ শংসতার ভয়াবহ বিবরণ। ২৫ বছর বয়সী ফাতিমা তাকে জানিয়েছেন, শূন্যে ছুঁড়ে দেওয়া অবস্থায় ভারি রাম দা আর ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়েছে তার সন্তানকে। এরপর পোড়ানো হয়েছে আগুনে। ফাতিমা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ শিশুকে এভাবেই হত্যা করা হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জীবন্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের। রোহিঙ্গা মা ফাতিমার কোলে নিজ সন্তান, অন্য মায়ের সন্তানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতেও দেখেছেন এই নারী। ফাতিমা সেই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরই একজন। তিনি শিশুদের প্রতি মিয়ানমারের সেনাদের ভয়াবহ নৃশংস আচরণের বিবরণ হাজির করেছেন। ডেইলি মিররকে জানিয়েছেন, হত্যাকাÐ সম্পনড়ব করেই সেনারা আসলে থামেনি, লাশগুলো পুড়িয়েও দিয়েছে তারা। টম প্যারোর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, প্রমে গুলি করে মারা হয় ফাতেমার স্বামীকে। তবে এতেই ক্ষান্ত দেয়নি মিয়ানমারের সেনারা। তার লাশ থেকে গলা কেটে বিচ্ছিনড়ব করা হয়। গল্পের ভয়াবহতার এটা কেবল সূচনা। ফাতিমা এরপর কানড়বারত কণ্ঠে প্যারোরকে জানিয়েছেন সেখানকার শিশু হত্যার বীভৎস বাস্তবতার কথা। বলেছেন, ‘আমি দেখেছি, সেনারা এক শিশুকে শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে ছুরি আর রামদা দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেছিল। ওই শিশুর চার টুকরা লাশ দেখেছি আমি। টুকরোগুলো তারা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল’। তিনি বলেন, আমি বোবা হয়ে গিয়েছিলাম। একটা কথাও বলতে পারিনি। যা দেখছিলাম, কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এটাই একমাত্র ঘটনা নয়, অনেক শিশুকেই একই কায়দায় হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনারা। কাউকে কাউকে জীবন্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ সংμান্ত রয়টার্সের সা¤প্রতিক এক বিশেষ অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে ওই জনগোষ্ঠীর ৭ লাখ মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুইটি পদাতিক বাহিনী। রাখাইনে ওই দুই বাহিনীর নেতৃত্বেই সংঘটিত হয়েছে যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ। ওই দুই বাহিনী যা করেছে, তার সার্বিক নির্দেশনা এসেছে সেখানকার শীর্ষ জেনারেল মিন অং হ্ল্যাং-এর কাছে থেকে। তাকেই নিধনযজ্ঞের নেপথ্য কারিগর আখ্যা দিয়েছে রয়টার্স। মিরর।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২ জুলাই, ২০১৮, ৬:৫৯ এএম says : 0
    বিশ্বের নেতৃত্ব আছে মরিয়া,বারমার হায়েনেরা খোন করিতেছে শিশু সহ সকল মানবতা ধরিয়া, ধরিয়া।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ