পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অনেকে বলেন বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া দরকার আমিও তাদের সাথে একমত। তবে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া দরকার তার চেয়েও বেশি দরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করা। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনের মতো হয়ে যাবে। তাই আমি বলবো যারা নির্বাচনে যেতে চান তারা আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করার ব্যবস্থা করেন। তাকে নিয়ে নির্বাচনে যাবো। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচনে যাবো এবং তাতে বিএনপি বিজয়ী হবে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও বাকশালী পুলিশ র্যাব কর্তৃক গুম-খুন ও নির্মম নির্যাতনের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল। তারা ৬টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন। এরআগে বিগত আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে পুলিশ, র্যাব ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে গুম-খুন-পঙ্গু হওয়া ১২৪টি পরিবারকে ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান প্রদান করে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিহিংসাবশত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করছে। শুনছি এখন নাকি আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের লিস্ট করছে। এসব লিস্ট ফিস্ট দিয়ে কাজ হবে না। বিএনপির আন্দোলনে লিস্ট বাতাসে উড়ে যাবে।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সদস্য আরাফাতুল রহমান আপেলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহীন, ছাত্রদলের সহ সম্পাদক রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সম্বয়ক সুমন আহসানসহ গুম-খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে ঘরে ঘরে স্বজন হারা মানুষের কান্নার রোল। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাই গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিন। আর খুনের সাথে জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করুন। জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল বেশিদিন চলতে পারে না। হেল্প সেল বেশি দিন চালাতে হবে না যদি যারা গুম-খুন হচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করি। হেল্প সেল দলের প্রতি সহানুভূতি। এটা বেশিদিন চালাতে চাই না। এটা করবো গরীব মানুষের জন্য নেতাকর্মীদের জন্য নয়। দল ক্ষমতায় আসলে কর্মীদের জন্য পুনর্বাসন করা হবে। বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হয়ে আসবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বিএনপি কোনো কাপুরুষের দল না। বিএনপি একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সাল থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন। আর এ কারণেই সরকার প্রতিহিংসায় বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করছে। শুনছি এখন নাকি আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের লিস্ট করছে। এসব লিস্ট ফিষ্ট দিয়ে কাজ হবে না। বিএনপির আন্দোলনে লিস্ট বাতাসে উড়ে যাবে। যারা জেলে আছেন তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জেলখানায় একজন সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি অসত্য মিথ্যা মামলায় কারাদন্ড দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো অবস্থাতেই সেখানে রাখা যায় না। তিনি অসুস্থ। কিন্তু মনোবল ভাঙ্গেনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে বিএনপি ভীতি। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। আওয়ামী লীগ ভীতিগ্রস্ত তারেক রহমান কখন দেশে চলে আসেন। আওয়ামী লীগ বিষধর সাপ। তারা মনে করে বাংলাদেশের সব মানুষ তাদের শত্রু। মানুষ তাদের শত্রু ছিল না। তাদের অপশাসন, দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে শত্রু হয়ে গেছে।
গাজীপুর- খুলনা নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনে সরকার কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। বিএনপি কৌশলগত কারণে প্রতিরোধ করেনি। তবে আগামীতে প্রতিরোধ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।