বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
বিশ্বকাপের হিসেব মতে, দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। তবে মেসিদের সব হিসেব উল্টে পাল্টে দেয় ক্রোয়েশিয়া। আলবিসেলেস্তাদের ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ক্রোয়েটরা। এরপরই উল্টে যায় পাশার দান। নাইজেরিয়াকে কোনোমতে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন টিকে থাকে সাদা-আকাশি শিবিরের। তবে শেষ ষোলোতেই ভেঙে যেতে পারে সেই স্বপ্ন। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে মেসিদের লড়তে হবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। অনেকের চোখে এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা দল এই ফ্রান্স। দলটিতে এমবাপ্পে, জিরুদ, গ্রিজম্যান, উসমান ডেম্বেলে, পল পগবা, স্যামুয়েল উমতিতির মতো তারকা রয়েছেন। হার্নান ক্রেসপোর মতো ফুটবলবোদ্ধা মনে করছেন, এই ফরাসি দলটির সঙ্গে পেরে উঠবে না আর্জেন্টিনা।
কে কি বললো, সেই হিসাব পরে করা যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সকে হারাতে বেগ পেতে হবে না আর্জেন্টিনার। কারণটাও সুনির্দিষ্ট। এ যাবৎ ১১ সাক্ষাতে আর্জেন্টিনাকে মাত্র দুবারই হারাতে পেরেছে ফ্রান্স। এর সর্বশেষটি ১৯৮৬ সালে। ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার সর্বশেষ সাক্ষাত হয় ২০০৯ সালে। মেসি ও গুতিয়েরেজের গোলে ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে নেয় আলবিসেলেস্তারা। এর আগে ২০০৭ সালে স্যাভিওলার গোলে ফরাসিদের হারায় আর্জেন্টিনা। আরো একটি পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকবে মেসির দল। ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বকাপে দুই সাক্ষাতের দুবারই জিতেছে ল্যাটিন দলটি।
এবার বাস্তবের জমিনে ফিরে আসা যাক। ফুটবলের বর্তমান সমীকরণ বলছে, মেসিদের হারাতে মোটেও বেগ পেতে হবে না ফ্রান্সের। বাছাইপর্ব থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে মূলপর্বে এসেছে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডে বিপক্ষে ড্র করেন মেসি-মারিয়ারা। পরের ম্যাচে হেরে যায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারালে তবেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় দলটির। ভয়ের কথা হলো, তিন ম্যাচে পাঁচবার আর্জেন্টিনার জাল কাঁপায় প্রতিপক্ষ দলগুলো।
একবারেই ভিন্ন অবস্থা ফরাসি শিবিরে। গ্রæপপর্বে তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে ফ্রান্স। তার চেয়ে বড় কথা, প্রতিপক্ষ মাত্র একবারই ফরাসি রক্ষণদূর্গ ভাঙতে পেরেছে। এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, জিরুদরা ভালো ফর্মে রয়েছেন। দলটিকে ভরসা যোগাচ্ছে তাদের রক্ষণভাগ। মেসি-আগুয়েরো-মারিয়াদের ঠেকানোর জন্য রয়েছেন ভারানে, লুকাস হার্নান্দেজ, উমতিতি, পাভাড ও এনগোলা কন্তে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।