পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন,পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিজ্ঞ কর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মামলাটি তদন্ত করেছে এবং তদন্ত এখন একদম শেষ পর্যায়ে। আমরা প্রত্যাশা করছি এক সপ্তাহ অথবা ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করতে পারব। ২০১৬ সালের ১ জুলাই দেশ কাঁপানো এই হামলায় ১৭ বিদেশি, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২জন নিহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। এসময় ৫ হামলাকারী নিহত হয়। নিহতরা সবাই জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। হলি আর্টিজান থেকে উদ্ধারের পর বেসরকারি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসনাত করিমকে পরে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। এই হামলার পর ওই বছরের ৭ জুলাই জঙ্গি হামলার চেষ্টা হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এরপর জঙ্গিবিরোধী পাল্টা অভিযানে নামে পুলিশ।
হলি আর্টিজানে হামলায় নাম আসা জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী, অন্যতম শীর্ষ নেতা সারোয়ার জাহান, সন্দেহভাজন প্রশিক্ষণ দাতা মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজানসহ বেশ কয়েকজন র্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। হামলাকারীদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহসহ জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, বড় মিজানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত চলার কারণ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, দায়সাড়াভাবে যদি অভিযোগপত্র দেই, তখন আসামিপক্ষের উকিল বিভিন্নভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করবে। তার জবাব ও প্রমাণ আমাকে দিতে হবে। মুখের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। তার বস্তুগত প্রমাণ অভিজ্ঞদের দিয়ে বলতে হবে। এই কারণেই আমরা মামলার তদন্তের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করেছি যা শেষ পর্যায়ে আছে। এই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে দুই জন ছাড়া সবাই গ্রেফতার আছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে কত জনকে আসামি করা হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই মুহূর্তে কারো নাম কিংবা চার্জশিটে জড়িতদের সংখ্যা বলা হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি কোনো অপরাধী যেন এই মামলায় ছাড় না পায়। কোনো নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সেই বিষয়টি আমাদের খেয়ালে আছে। পুলিশ কমিশনার জানান, এই হামলাটি হঠাৎ করে হয়নি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পায় ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তার এর পেছনে অনেকেই সম্পৃক্ত ছিল।
ডিএমপি কমিশনার জানান, এই হামলার পেছনে যেসব উদ্দেশ্য ছিল তার একটি ছিল সরকার পতন। এখানে অনেকগুলো গ্রæপ কাজ করেছে। এটা বাংলাদেশকে অকার্যকর করা, বিদেশিদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করা, দেশের জনগণের মধ্যে উন্নয়ন ব্যহত করা, আমাদের বিদেশি ক্রেতা বা বিনিয়োগ কারীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা এবং সরকার পতন করে দেয়ার একটা গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা এখনই বলতে চাই না। আমি একজন প্রজাতন্ত্রের কমচারী। যখন বিচারিক আদালতে উঠতে মামলাটি তখন সবাই সব জানতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।