Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দখল-দূষণে হারাচ্ছে হাজীগঞ্জের খাল

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে কামরুজ্জামান টুটুল : | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কৌশলে দখল আর অব্যবস্থপনার কারনে মরে যাচ্ছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বুক চিড়ে চলে যাওয়া খালগুলো! খালের পাশে দোকান তুলে আবার তার নীচে ময়লা আবর্জনা ফেলে, খালের উপর রাস্তা নির্মাণ, কালভার্ড দিয়ে খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, বালি সঞ্চালন করে খালের নব্যতা নষ্ট, খাল খনন না করাসহ বেশ কিছু কারনে উপজেলার খালগুলো মরে যাচ্ছে। খাল দখল আর মরে যাবার কারনে উপজেলার ইরিগেশন হুমকির মুখে পড়েছে, পানিবদ্ধতা আর সামান্য বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সকল ইউনিয়নের উপর দিয়ে ছোট বড় কমপক্ষে ২০-২২টি খাল প্রবাহমান। সর্বসাকুল্যে ছোট বড় মিলিয়ে উপজেলায় কমপক্ষে ৩০টি খালের দৈর্ঘ প্রায় দেড়‘শ কিলোমিটার বলে জানায়, উপজেলা কৃষি অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শৈলখালী খাল, বোয়ালজুড়ি খাল, জমজমিয়া খাল, চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল। যার একেক একেকটি দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। আবার চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে পুরো উপজেলার সীমানা জুড়ে রয়েছে সড়ক বিভাগের খাল।
সরজমিনে দেখা যায়, সড়ক বিভাগের খালের অধিকাংশ অংশ ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে। ছোট ছোট খালগুলোর মধ্যে রাজারগাঁও বাজারের উপর দিয়ে চলে যাওয়া খাল, ৫নং সদর ইউনিয়নের সড়ক বিভাগের কৈয়ারপুর বাজার এলাকা ধরে দক্ষিনে চলে যাওয়া খাল, কৈয়ারপুর আমির বাড়ি ব্রিজের নীচ দিয়ে দক্ষিনে শ্রীনারায়নপুর মাঠ হয়ে ডাকাতিয়ায় চলে যাওয়া শ্রীনারায়নপুর খাল। বলাখাল পশ্চিম বাজার এলাকা ধরে সড়ক বিভাগের ব্রিজ ধরে সরকারী খাল বলাখাল বাজার খাল, বলাখাল পূর্ব বাজারের সড়ক বিভাগের ব্রিজ ধরে রামপুর সড়কের পাশে দিয়ে চলে যাওয়া কুচিরবিল খাল, মিঠানিয়া খাল, আলীগঞ্জস্থ শৈলখালী খালটি বালি ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে নব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় এই খালগুলোর অধিকাংশ এলাকা ইতিমধ্যে দখলে চলে গেছে।
অপরদিকে উপজেলার দক্ষিনে মৈশামুড়া বাজার এলাকার, বটতলা এলাকা, মালিগাঁও বাজার এলাকা, কাকৈতলা কলেজ এলাকা, মোহাম্মদপুর বাজার এলাকা, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জ অংশের বেলচোঁ বাজার এলাকা, সেন্দ্রা বাজার এলাকা দিয়ে চলে যাওয়া প্রতিটি খালের উপর টং ঘর তুলে কেউ ভাড়া আদায় করছে কেউবা আবার নিজেরা দখলে নিয়ে রেখেছে।
বলাখাল বাজার এলাকার স্থানীয় আলী নূর শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই খালগুলো বিভিন্ন জনের দখলে চলে যাওয়ার কারনে এই অঞ্চলের ইরিগেশন ব্যবস্থা হুমকির মূখে পড়েছে। খালগুলো থেকে অবৈধ দখল সরিয়ে খনন করলে নাব্যতা ফিরে পাবে আর খালগুলো জীবন পেলে এই অঞ্চলে বন্যা আর ইরিগেশনের পানির সমস্য হবে না।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া ইনকিলাবকে বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশে অন্য সকল উপজেলার সাথে আমরা হাজীগঞ্জের খালগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।
পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, খাল উদ্ধারে প্রশাসন এগিয়ে আসলে আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্ব সহযোগিতা থাকবে। এদিকে মিঠানিয়া খাল দখলের কারনে আমার ৮ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হুমকির মুখে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ