বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৮জন এবং কাউন্সিলর পদে জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বরিশাল বিভাগীয় নির্বাচন অফিসে অনেকটা উৎসবের রূপ লাভ করে। বিএনপি সহ ২০দলীয় জোটের পক্ষে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার এবং ১৪দলের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাদেক আবদুল্লাহ গতকাল বিশাল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
আগামী ১ ও ২জুলাই এসব মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৯জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন । ৩০জলাই ভোট গ্রহণ ।
বড় দুই দলের দুজন প্রার্থী ছাড়াও ইতোপূর্বে ২০দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মনোনীত প্রার্থী আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অপরদিকে কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে এডভোকেট একে আজাদ, বাসদ-এর ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী এবং জাতীয় পার্টির দুজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। দুজনই নিজেদেরকে দলীয় প্রার্থী দাবী করলেও গত বুধবার ইকবাল হোসেন তাপস মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় তার সাথে জাতীয় পার্টির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। তবে অপর প্রার্থী বশির আহমদ ঝুনুও নিজেকে দলের মূল প্রার্থী বলে দাবী করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৫জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে ৪দলীয় জোট প্রার্থী বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল প্রায় ১৮হাজার ভোটে সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরনকে পরাজিত করেন। ঐ বছর ২৪অক্টোবর বরিশাল সিটি করপোরেশনের নগর পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে আগামী ২৭অক্টোবর এ নগর পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী তার ১৮০দিন আগে গত ২৭এপ্রিল থেকে এ সিটি নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়। গত ১৩জুন নির্বাচন কমিশন বরিশাল সহ ৩টি সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী বরিশাল সিটি এলাকায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন। ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নগরীতে ভোটার ছিলো ২ লাখ ১১ হাজার ২শ’ ২৭জন। সে হিসাবে এবার ভোটার বেড়েছে ৩০ হাজার ৭শ’ ৩২জন। যার অধিকাংশই নতুন ও তরুণ ভোটার। নির্বাচন অফিসের প্রকাশিত খসড়া তালিকায় এবার ভোট কেন্দ্র রাখা হয়েছে ১২৭টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৫৮টি। ২০১৩ সালে নগরীতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১০০টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।