পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান জানিয়েছেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বিদেশী জাহাজের উপরে নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। ভাড়া জাহাজের পেছনে সরকারের প্রতিবছর ব্যয় হয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তাই বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, চীনের সহায়তা নিয়ে ৬টি নতুন জাহাজ কেনা হচ্ছে। এসব জাহাজের প্রতিটি ধারণক্ষমতা ৩৯০০ ডিডবিøউটি সম্পন্ন ৩টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং ৩টি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার। চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী বছরের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে এগুলো বিএসসির বহরে যুক্ত হবে। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশী পতাকা বাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ হাজার ডিডবিøউটির উর্দ্ধে ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশী পতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে। তিনি আরো জানান, দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসি স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে ২টি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দু’টি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দু’টি কয়লা পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্কক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ২০৪১ সালের মধ্যে এলএনজিসহ বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও বিভিন্ন ধরণের ২০টি জাহাজ পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করা হবে। মন্ত্রী শাহাজান খান জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ১টি সমুদ্রগামী জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ ৬৭টি হয়। বর্তমানে দেশে পতাকাবাহী জাহাজেন সংখ্যা ৩৮টি। এর মধ্যে সরকারি খাতে বিএসসি জাহাজ সংখ্যা ৩টি। বিএসসির জন্য ৬টি অত্যাধুনিক জাহাজ ক্রয় চুড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। এটি বিএসসি বহরে যুক্ত হলে দেশে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে। সরকারী দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের গত মেয়াদ থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ছোট বড় মোট ১৯১ টি নৌ-দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্যে ৪৮টি বড় আকারের নৌ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করে প্রাপ্ত প্রতিবেন অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী নৌযানের পরিচালনাকারীদের অদক্ষতা, বিরুপ আবহাওয়া, নৌযানের ত্রæটি ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বিগত ৩ বছরে উল্লেখযোগ্য কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।