মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব মানবে না মিয়ানমার। অন্য সব কিছু মানতে চাইলেও নাগরিকত্ব বিষয়টি মানতে চায় না। যদিও পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করাকেই রাখাইন সংকট সমাধানের পথ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনে। তবে রয়টার্সের এক বিশেষ অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, মিয়ানমার আনান কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজি থাকলেও সহসা নাগরিকত্ব নিশ্চিতের পদক্ষেপ শুরু করছে না। নাগরিকত্ব নিশ্চিতের পথে ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনকে বাধা হিসেবে শনাক্ত করেছিল আনান কমিশন। আইনটি সংশোধনের আবশ্যিকতা তুলে ধরা হয়েছিল কমিশনের প্রতিবেদেন। তবে রয়টার্সের বিশেষ অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, গত ৮ জুন ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উয়িন মিয়াত পশ্চিমা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, সহসা নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সা¤প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ৮২-তে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে পরিচয়হীনতার কাল শুরু হয় রোহিঙ্গাদের। এতে মিয়ানমারে বসবাসকারীদের সিটিজেন,অ্যাসোসিয়েট জেস নেচারালাইজড পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এমনকি দেশটির সরকার তাদের প্রাচীন নৃগোষ্ঠী হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়নি। ১৮২৩ সালের পরে আগতদের অ্যাসোসিয়েট আর ১৯৮২ সালে নতুনভাবে দরখাস্তকারীদের নেচারালাইজড বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ওই আইনের ৪ নম্বর প্রভিশনে আরও শর্ত দেওয়া হয়, কোনও জাতিগোষ্ঠী রাষ্ট্রের নাগরিক কি না, তা আইন-আদালত নয়; নির্ধারণ করবে সরকারের নীতি-নির্ধারণী সংস্থা ‘কাউন্সিল অব স্টেট’। এ আইনের কারণে রোহিঙ্গারা ভাসমান জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হয়। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।