Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুরে সঠিক নির্বাচন হলে আ.লীগের প্রার্থী তিন লাখ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হতো -কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ৫:২৩ পিএম

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হতো তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর নৌকা মার্কা তিন লাখ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হতো। তাই আগামী ৩০ জুন বাসাইল পৌরসভার নির্বাচন আর গাজীপুরের নির্বাচন এক নয়। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার বাসাইলে বধিত তোমার প্রাণ।

তিনি গত মঙ্গলবার রাতে বাসাইল পৌরসভার রায়বাড়ি এলাকায় নির্বাচনী পথসভায় তিনি কথা বলেন।

বাসাইল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতিক, বাসাইল পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান প্রমুখ।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, বাসাইল পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এনামুল করিম অটল কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী রাহাত হাসান টিপুকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এজন্য ধানেশীষের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আরো বলেন, গত বাসাইল উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী কাজী শহিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন আব্দুর রহিম। আর সেই আব্দুর রহিমকে বাসাইল পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী করা হয়েছে। আব্দুর রহিম গনবাহিনী করে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। সে কোনদিন আওয়ামী লীগ করেনি। প্রকৃত আওয়ামলীগকে বাদ দিয়ে একজন নকল লোককে নৌকায় উঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। বাসাইলবাসী দেখিয়ে দিবে ৩০ জুনের নির্বাচন।

উল্লেখ্য, বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪০০। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৯২৫জন। ২০১৩ সালে এই পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৮ জুন, ২০১৮, ৬:০৫ এএম says : 0
    কাদের সিদ্দিকী উনি ছিলেন ওনার তৈরী কাদেরিয়া বাহিনির প্রধান, যেহেতু ওনারাও দেশ স্বাধীন করার জন্যে যুদ্ধ করেছেন সেহেতু ওনারাও মুক্তিযোদ্ধা এটাই সত্য। আর তিনি ছিলেন একজন ব্যাতিক্রম মুক্তিযোদ্ধা যেজন্য ওনাকে বঙ্গবীর খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল। এমন একজন যোদ্ধা কিভাবে দিন দিন পাকিস্তান পন্থিদের (যাদের বিরুদ্ধে আমরা এবং উনার দলও যুদ্ধ করেছি) সাথে মিলে রাজনীতি করছে এটা ভাবতেও অবাক লাগে। গ্রামের ভাষায় বলে থাকে, ‘উপরের দিকে থুথু ফেললে সেটা নিজের গায়ে পড়ে’ কাজেই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওনার সম্পর্কে বেশী কিছু বলা ঠিক নয় যদিও ওনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বালা যায়, তাই না?? মেজর জলিলও একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু তার শেষ পরিণতি সবাই জানেন। ঢাকার মেয়র খোকা তিনিও একজন সুনাম ধন্য মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু উল্টা পাল্টা কাজ করে এখন দেশান্তরি। কাজেই আমি শুধু কাদের সিদ্দিকীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই তার কর্মকাণ্ড তিনি যদি সংশোধন না করেন তাহলে ওনার অবস্থা মেজর জলিল কিংবা খোকার মত হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি?? আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বলা এবং সত্যের পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Deb ১ জুলাই, ২০১৮, ৩:০৭ পিএম says : 0
    Mr.siddiqie told truth.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাদের সিদ্দিকী

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ