Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইসিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সরকার যেভাবে চেয়েছে, সেভাবে সাজানো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ক্ষোভের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আপনাদের ধন্যবাদ। আগামী দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনার জন্য আপনারা যে রাস্তাটি তৈরি করেছেন সেজন্য সিইসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আর কোনো অভিযোগ আপাতত তাদের কাছে আমাদের নেই।
গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির কাছে অনিয়মের অভিযোগ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন। এ সময় বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বিএনপির পর আওয়ামী লীগ সিইসিকে জানায় বিএনপি হতাশা থেকে এমন অভিযোগ করেছে। তারা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা প্রসঙ্গে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, গাজীপুরের এসপির বিরুদ্ধে এর আগে তিনবার অভিযোগ দিয়েছি যে তাকে প্রত্যাহার করার জন্য। সিইসি বলেছেন তাকে সরানো যাবে না। তাকে সরালে নির্বাচন লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। ভেবে-চিন্তেই আমরা এই ব্যক্তিকে রেখেছি। ওই ব্যক্তিকে রাখা হয় যাতে করে নির্বাচনটি এমনিভাবে হয়। আজকে সেভাবে নির্বাচনটা হয়েছে। এ জন্য ওনাদের আমরা ধন্যবাদ দিয়েছি। এরপর আওয়ামী লীগ সিইসিকে জানায় বিএনপি হতাশা থেকে এমন অভিযোগ করেছে। তারা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি কখনো বলছে ২১টি, কখনো বলছে ১০০টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। কিন্ত তারা কোনো তালিকা দিতে পারেনি। রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার জন্য হতাশা থেকে জাতিকে বিভ্রান্ত ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিএনপির কেন্দ্রীয় দু’নেতা গাজীপুরে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তার ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আজকে যতটুকু বিশৃঙ্খলা হয়েছে, সেই পরিকল্পনারই অংশ। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের মধ্যে দলটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওসার, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও এর আগে সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক করে। আলোচনার পর দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা সিটির মতো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করার দাবি করেছিলাম আমরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ইসি। ফলে পুলিশ সুপার এবং তার নেতৃত্বে জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ সেখানে চূড়ান্ত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। তিনি বলেন, ২১টি কেন্দ্র থেকে পুলিশ, জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ এবং সাদা পোশাকের পুলিশের নেতৃত্বে আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা (ইসি) তাঁদের আশ্রস্থল, তাই এসেছেন। মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাষ্য, অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের (বিএনপি) মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিইসি। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সিইসি বলেছেন, মাঠে থাকেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেন। সিইসির কথায় বিএনপি আশ্বস্ত হতে পারেনি। আমরা দুঃখিত। তাঁর কথায় আমরা বিন্দুমাত্র আশ্বস্ত হতে পারিনি। তবে সময় দিয়েছেন, এ জন্য ধন্যবাদ। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ