বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : জাটকা ও মা-ইলিশ রক্ষায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে খুলনার বাজারগুলোতে অভিযান চালাবে খুলনা জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। একই সাথে এবছর ইলিশ ছাড়াই নববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা জেলা মোঃ নাজমুল আহসান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ সাল শুরু হচ্ছে। ইতিহাস ঐতিহ্য অনুযায়ী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি মেতে উঠবে বর্ষবরণ উৎসবে। আর এ উৎসবকে নিরাপদে সাফল্যমন্ডিত করতে খুলনা মহানগরীতে থাকবে নিñিদ্র নিরাপত্তা। নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের অনুষ্ঠানমালা স্থলে থাকবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বর্ষবরণ উৎসব অবশ্যই সূর্যাস্তের পূর্বেই শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল আহসান জানান, বর্তমানে ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। ফলে মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় খুলনার বাজারগুলোতে পর পর দু’দিন অভিযান চালানো হচ্ছে। নববর্ষের আগের দিনও অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। বৈশাখে ইলিশ বর্জনেরও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। (ডিসি খুলনা নামের) ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, চলমান মৌসুমটি হচ্ছে ইলিশ প্রজননের উৎকৃষ্ট সময়। এ সময় পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষে বাজারে ইলিশের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে, নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ নিধন শুরু হয় ব্যাপকহারে। তাই জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন খুলনা এ বছরের (১৪২৩ বঙ্গাব্দ) পহেলা বৈশাখের আয়োজনে ইলিশ মাছ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, অন্যসব আয়োজন আগের মতোই থাকবে। কেএমপি সূত্রে জানা গেছে, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যে কোন ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে সুইপিংয়ের মাধ্যমে তা ধরা পড়বে। বর্ষবরণের মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও মেলাস্থলে গুরুত্ব অনুযায়ী থাকবে দুই থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা। আজ মঙ্গলবার থেকে মহানগরীর বিভিন্ন জনসমাগমস্থল বা মেলার মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক নজরদারী রাখছে পুলিশ। আগামী বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিএসবি’র সদস্যরাও নজরদারী থাকবেন। পাশাপাশি র্যাবের টহল থাকবে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সূর্যাস্তের পূর্বেই শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেএমপিকে। তারই আলোকে কেএমপি’র বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) বর্ষবরণ সুন্দর এবং নিরাপদভাবে পালনের লক্ষে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্ষবরণে নগরীতে দেড় সহ¯্রাধিক পুলিশ বিভিন্ন স্থানে নিñিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।