পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চিকৎসার ক্রমাগত উচ্চ ব্যায়ের কারণে মানুষ দারিদ্রের শিকার হচ্ছে। একজন রোগীকে বাঁচাতে গিয়ে পুরো পরিবার দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে সরকারি হাসপাতালগুলো সঠিক সেবা দিতে পারছে না। ঘোষিত বাজেটে এই সমস্যার সামাধানে কোন দিক নির্দেশনা দেয়া নেই। এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমান হয়েছে সরকারের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাত নেই। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ : স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং ডক্টরস্্ ফল হেলথ এন্ড এনভারনমেন্ট যৌথ ভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি প্রফেসর ডা. রশীদ-ই-মাহবুব এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রফেসর ডা. এম আবু সাঈদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন, জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. নিতাই দাশ, সাবেক ডাকসু জিএস ডা. মোসতাক আহমেদ, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভারনমেন্টর কাজী রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এক যুগ আগেও দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে মোট বরাদ্দ ছিল ৬ দশমিক ৫০ ভাগ। বর্তমানে সেটি নেমে ৫ দশমিক শুণ্য ৩ ভাগে নেমে দাড়িয়েছে। এবারের স্বাস্থ্য বাজেটে যে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তা জিডিপির মাত্র শুণ্য দশমিক ৯২ ভাগ। বক্তারা বলেন, দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহত এই বাজেটে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। যা গতবছরের তুলনায় ২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু আনুপাতিক হারে বরাদ্ধ এবং জিডিপি দুই কমেছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ একটানা ১০ থেকে ২০ বছর ব্যয় করা না হলে স্বাস্থ্য খাতের মান এবং সেবার মাত্রা সন্তোনজনক পর্যায়ে উন্নীত হবে না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সরকারি বরাদ্দ ছিল ৩৭ ভাগ এবং জনগনকে খরচ করতে হতো ৫৭ ভাগ। ২০০৫ সালে সরকারি বরাদ্দ ছিল ২৭ ভাগ এবং রোগীকে খরচ করতে হতো ৬৪ ভাগ, ২০১০ সালে সরকারি বরাদ্দ কমে দাড়ায় ২৬ ভাগে এবং জনগনের পকেট থেকে ব্যয় বেড়ে দাড়ায় ৬৬ ভাগে। ২০১৫ সালে এটি আরও নি¤œমূখী হয়েছে। যেখানে সরকারি ব্যয় মাত্র ২৩ ভাগ এবং জনগণকে পকেট থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৭০ ভাগ। সংবাদ সম্মেলনে এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্যকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতসহ ১৯ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।