পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ায় জি টু জি প্লাসে দশ সিন্ডিকেট চক্রের কর্মী নিয়োগের চলমান প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেছে দেশটি’র সরকার। ওই চক্রের বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ-এর খবর দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশী বঞ্চিত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালের ৮ মার্চ থেকে দশ সিন্ডিকেট চক্র গত ২৯ মে পর্যন্ত চড়া অভিবাসন ব্যয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে। এতে সিন্ডিকেট চক্র প্রায় ৪ হাজার ২শ’ ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরও অন্তত একলাখ লোক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
মালয়েয়িশাভিত্তিক একটি ইংরেজী পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদনে তা’ প্রকাশ পেয়েছে।
প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে একটি চক্র মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে ওই এজেন্সিগুলোকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে বিগত ১৫ মাসে অন্তত ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানকে উদ্ধৃত করে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম স্টার অনলাইন শুক্রবার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চক্রটি মালয়েশিয়া সরকারের উপরের মহলে যোগসাজশের মাধ্যমে বাংলাদেশে এজেন্ট অনুমোদন দিয়ে একচেটিয়া কারবার গড়ে তুলেছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে মানবসম্পদ আমদানির বিষয়টি পরিচালনা করা হয়েছে ব্যক্তিগত ব্যবসার কায়দায়, যাতে কেবল ব্যক্তি বিশেষই লাভবান হয়।”
তিনি বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি নেয়া হচ্ছিল তাতে শ্রমিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছিল, আর তা যাচ্ছিল দুই দেশের কিছু দালালের পকেটে।
“আমরা এ নিয়ে তদন্ত করছি। সমস্যাগুলো দূর করার প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে; আমার বিশ্বাস, শিগগিরই আমরা একটি সমাধান খুঁজে বের করতে পারব।”
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান জানান, তার আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার পুরনো পদ্ধতিতে (জি টু জি) ফিরে যাবে, যাতে আবেদন প্রক্রিয়া চালু রাখা যায়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে কুয়ালালামপুরে আমাদের দূতাবাস মালয়েশিয়া সরকারের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাবে।
মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনশক্তি রপ্তানিকারকদের এজেন্সিগুলোকে নিয়ে গঠিত ওই চক্রের হোতা একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, যিনি মালয়েশিয়ায় দাতো শ্রী উপাধি পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া- দুই জায়গাতেই রাজনৈতিক মহলে তার প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে। ফলে ২০১৬ সালে দুই দেশের সরকারের চুক্তির মাধ্যমে যখন ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাদ দিয়ে মাত্র ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে বাংলাদেশ থেকে মালায়েশিয়ায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়, তার পেছনেও ওই ব্যবসায়ীর হাত ছিল বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগে মালয়েশিয়া জনশক্তির জন্য বাংলাদেশকে তাদের ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকাভুক্ত করে। ফলে সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।