Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গেরুয়া সন্ত্রাস থেকে ভারতীয় মুসলমানরা রেহাই পাচ্ছে না

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ৯:৩৭ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে গেরুয়া সন্ত্রাস, হামলা ও হত্যা থেকে রেহাই পাচ্ছে না মুসলমানরা। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিরা ভারতের অধিকাংশ এলাকায় সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এইসব বর্বর জঙ্গিরা মূলত মুসলিমদের উপর হামলা নির্যাতন করছে এবং তাদেরকে হত্যা করছে। যে সব কারণে হত্যা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে গো রক্ষা এবং লাভ জিহাদের মতো কারণ। হিন্দুত্ববাদ রক্ষার নামে ভারতের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। উত্তেজিত জনতার সহিংস হত্যাকাÐ একদিকে বেড়েছে। অন্যদিকে নিশ্চুপ হয়ে আছে মোদি সরকার। সরকারের নিরবতার কারণে জেগে উঠেছে আরও বহু ঘৃণাবাদী ও সন্ত্রাসী গ্রæপ, যারা মুসলিম ও নিম্নবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। খবরে বলা হয়, ঝাড়খাÐে গরু চুরির কথিত অপরাধে দুজন মুসলিমকে পেটানোর মাত্র কয়েক দিন পরেই ১৯ জুন উত্তর প্রদেশে একই ধরনের কথিত অভিযোগে এক মুসলিম কৃষককে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন তোলপাড় চলছে। এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে পিলখুয়া কোতয়ালি এলাকার বাঝেদা খুর্দ গ্রামের লোকেরা দু’জন মানুষকে গরু জবাইর কথিত অপরাধে নির্দয়ভাবে পেটাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একজন কাসেম (৪৫)। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার অপর সঙ্গী গুরুতর আহত অবস্থায় এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে। ওই দুইজন কোরবানি দেয়ার জন্য দুটো গরু এবং একটি বাছুর চুরি করেছে বলে এলাকায় গুজব রটিয়ে দিলে ওই দুজনকে পেটায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছু লোক এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে আর পুলিশ ওই লোকগুলোকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই ছবি প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায় ওই ঘটনাটি ঘটে। ওই ছবিতে হত্যাকারীদের সাথে তিনজন পুলিশকেও দেখা গেছে। পুলিশ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পরপরই ওই ছবিটি তোলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না যাওয়ার কারণে মৃতদেহ নিয়ে ওই ধরণের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশদের বিষয়টি নিয়ে আরও যতœবান হওয়া উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছে পুলিশ। এর আগে ১৪ জুন ঝাড়খাÐ রাজ্যের এক গ্রামে স্থানীয় গ্রামবাসী দুজন মুসলিমকে পিটিয়ে জখম করে। এদের মধ্যে একজন মারা যায়। ভুক্তভোগি দুজন কিছু হারিয়ে যাওয়া মহিষ খুঁজে নিয়ে ফিরছিল। এ সময় তাদের উপর হামলা করে স্থানীয় গ্রামবাসী। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ