Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ মুহূর্তে চীন সফর বাতিল মমতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ৪:২৭ পিএম | আপডেট : ৫:১৫ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৮

বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েই ৮ দিনের চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। চীন সরকারের আমন্ত্রণেই ভারত সরকারের প্রতিনিধি হয়েই বেইজিং ও সাংহাইতে চীনের বেশ কয়েকটি বাণিজ্য সংস্থার সাথে বৈঠক করার কথা ছিল। সাক্ষাৎ হওয়ার ছিল চীনের প্রাদেশিক নেতাদের সাথেও। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে ২৫ জুন বেইজিংয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সারির নেতাদের সাথেও বৈঠক করার কথা ছিল মমতার। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি ছিল তার। সেইমতো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি চলছিল। শুক্রবার রাতেই তাঁর কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বেইজিংয়ের। মমতার সাথেই সফরসঙ্গী হিসেবে থাকার কথা ছিল রাজ্যটির অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও মুখ্যসচিব মলয় দেসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিবদের। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তার সেই সফর বাতিল হলো।

রাতে বিমান ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই এদিন বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে মমতার এই সফর বাতিলের কথা জানান অমিত মিত্র। তিনি বলেন, আজ রাতে মুখ্যমন্ত্রী চীনে যাচ্ছেন না। কারণ সেখানে যে রাজনৈতিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, সেটা এখনও পর্যন্ত নিশ্চয়তা দেয়নি চীন সরকার। তাই চীন সরকার থেকে কোনো অনুমোদন না আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

ভারত-চীন উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আদানপ্রদানের লক্ষ্যেই চলতি বছরের মার্চে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ চিঠি লিখে মমতা ব্যানার্জিকে প্রতিনিধি দল নিয়ে চীনের যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর এপ্রিলে মমতাও সেই প্রস্তাবে সাড়া দেন। এরপরই মমতার চীন সফরসূচির একটি খসড়া তৈরি করা হয়। জানা যায়, চীনের তরফেই সেই খসড়া সফরসূচিতেই রাজনৈতিক বৈঠকের কথাও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তিন মাসেও বেইজিং’এর তরফে সেই সফরসূচি চূড়ান্ত করার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই সফর বাতিল করা হয়।

সফর বাতিল হওয়ার পরই এক বিবৃতি দিয়ে সফরের ব্যখ্যা দিয়ে মমতা জানান, ‘আমার নেতৃত্বে চীনের প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন, তাঁর সেই প্রস্তাবকে প্রশংসা জানিয়ে আমি চলতি বছরের ২ এপ্রিল আমার তরফে সম্মতি জানাই। আমি তাঁকে জানাই যেখানে আমার দেশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে, সেখানে চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে আমি চীনে যেতে চাই’।

মমতা আরও জানান, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সবকিছু ভাল ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চীনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে আমাদেরকে জানানো হয় যে যথোপযুক্ত পদমর্যাদার রাজনৈতিক বৈঠকের ব্যাপারে চীন সরকারের তরফে কোন নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। যদিও আমাদের রাষ্ট্রদূতের তরফে সর্বত্র চেষ্টা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে চীনে প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার কোন অর্থই হয় না’।

য়ী মনবাধিকার কমিশন সোচ্চার হবে। সিটির সকল এজেন্সীর সাথে মতবিনিময় করার মধ্য দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর এভাবেই সকল মানুষের জন্যে নিরাপদ সিটির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার চেষ্টা করা হবে।

এ সময় সিটি মেয়রের ইমিগ্রেশন সম্পর্কিত কমিশনার বিটা মোস্তফি বলেন, বর্ণ, জাতীয়তা, ধর্মীয় কারণে কেউ হয়রানি হবে অথবা কর্মস্থলে বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হবে-এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া উচিত নয়। এমন পরিস্থিতির অবসানে আমরা কাজ করছি মানবাধিকার কমিশনের সাথে। চলতি পথে অথবা কর্মস্থলে কেউ যাতে অযথা হয়রানি না হন-সে চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসী সমাজ স্বস্তিতে নেই-এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই জরিপে। তাই আমরা কম্যুনিটির শান্তি-স্বস্তি অটুট রাখতে এখন থেকে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ করবো। কারণ, এই সিটির দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় সজাগ থাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ