Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিবাসী চাপ সামলাতে জরুরি বৈঠকে বসছে ইইউ

ভিন দেশে শরণার্থী শিবির স্থাপনের চিন্তা ইউরোপের

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ৯:৫৫ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অভিবাসনের ব্যাপারটি বহু বছর ধরেই এক বিষাক্ত ইস্যু। কিন্তু এখন ক্রমশ এই ইস্যুকে ঘিরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে বৃহত্তর ক্ষমতার দ্ব›দ্ব শুরু হয়ে গেছে। আশ্রয় প্রার্থীদের জায়গা দিতে একের পর এক সদস্য দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে অভিবাসন বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার দিমিত্রিস আভরামোপালাস স্বীকার করেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো মহাদেশে রাখার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা স্থলপথে বা নৌপথে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢোকার চেষ্টা করবে, তাদেরকে পথে থামিয়ে অন্য কোন দেশে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা যায় কি না, সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আলজেরিয়া, মরক্কো, লিবিয়া এবং মিসরের সঙ্গে তারা এধরনের আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন, কিন্তু কেউ এখনো রাজি হয়নি। অস্ট্রেলিয়া বেশ ক’বছর ধরে এই নীতি অনুসরণ করছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আভরামোপালাস অবশ্য বলছেন, তারা জেনেভা কনভেনশন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনকানুন মেনেই এই কাজ করতে চাইছেন, তারা শরণার্থীদের জন্য কোন গুয়ানতানামো শিবির তৈরি করতে চান না। অপরদিকে, ক্রমবর্ধমান অভিবাসীদের চাপ সামাল দেয়া নিয়ে উপায় নির্ধারণে আলোচনায় বসছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের বেশকিছু দেশের নেতারা। আগামী রোববার তারা এমন আলোচনায় বসছেন। এই অভিবাসী ইস্যুতে ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক বিভক্তি রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যখন সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করে বন্দিশালায় পাঠানো হচ্ছে আর তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, তখনই এ রকম আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আলোচনায় যোগ দেবেন গ্রিস ও বুলগেরিয়ার নেতারা। সেখানে আলোচনা করা হবে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কীভাবে থামানো যায়। কারণ, একবার অভিবাসীরা ইউরোপে পৌঁছাতে পারলে তারা সেখানকার কোনো না কোনো দেশে আশ্রয় চেয়ে বসেন। রোববারের আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের নির্বাহী। তবে আগামী ২৮ ও ২৯শে জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন রয়েছে। ১০ লাখের বেশি অভিবাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করার তিন বছর পরে এই সম্মেলন থেকে একটি যৌথ অভিবাসন বিষয়ক নীতি গ্রহণ করার কথা নেতাদের। তার আগেই ওই আলোচনা সভার আহŸান করা হয়েছে। ফলে এই আলোচনা ওই নীতি গ্রহণের ওপর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হয়। উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে জার্মানিতে রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে ক্রমাগত ভূমিকা রাখছে অভিবাসন ইস্যু। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ