পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবদের নিয়ে বিএনপির এবার সক্রিয়। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনও ষড়যন্ত্র টিকবে না। দেশের জনগণ প্রতিহত করবে।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সাথে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এবার সক্রিয় হয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আছে, কথাতো থাকতেই পারে, থাইল্যান্ডের বৈঠক। আরও অনেক জায়গায় তারা (বিএনপি) ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখানে-ওখানে গভীর রাতে বৈঠক চলছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনও ষড়যন্ত্র টিকবে না।’
কাদের আরও বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রতি বিএনপি নেতাদের আস্থা নাই, তারা নির্বাচনি এলাকায় না গিয়ে বিদেশে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছে। নালিশ করছে, কূটনীতিকদের কাছে যাচ্ছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রেই কাজ হবে না। সব ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ রুখে দেবে। বিএনপি নেতারা কে কি করছে তা সব জানি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা, তা নিয়ে আমাদেও কোনও মাথাব্যথা নেই বলেও জানান সরকারের এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে আসার পথে আওয়ামী লীগ বাঁধা নয়।
গত নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের দোষ? শেখ হাসিনার দোষ? তারা নিজেরা সবকিছু উপেক্ষা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এটা তাদের বিষয়। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়াটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। নির্বাচনে না এলে কী হবে, তা বিএনপি জানে। বিএনপি আন্দোলনও করতে চায়, আবার নির্বাচনেও অংশ নিতে চায়। বিগত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। আবার একই ভুল করলে তারা নিজেরাই সমালোচনার শিকার হবে। তারা নির্বাচন থেকে সরে গেলে দেশের সাংবিধানিক ধারাকে তো আমরা জলাঞ্জলি দিতে পারি না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’
খালেদা জিয়ার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর হাসপাতালে তাদের অনিহা। সিএমএইচ হাসপাতালের চেয়ে ভাল হাসপাতাল আছে বলে আমার জানা নাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডা. দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অসীম কুমার উকিল, মৃনাল কান্তি দাস, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সবুর, ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিপ্লব বড়ুয়া, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।