Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে শেষ হয়নি ঈদের আমেজ

আনন্দমুখর পর্যটকে সরগরম বিনোদন কেন্দ্রগুলো

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৮, ৬:০৩ পিএম

ঈদের ৪ দিন পরেও কক্সবাজারে শেষ হয়নি ঈদের আমেজ। সমূদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের বিনোদন স্থান গুলো এখনো আনন্দ মূখর পর্যটকে সরগরম। কাল সোমবার সমূদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে ব্যাপক পর্যটকের উন্মুক্ত বিচরণ।
গত কিছুদিন ধরে চলে আসা মাদক বিরোধী অভিযান ও রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে শুরুতে পর্যটকের আগমন কম থাকলেও পুলিশ এর সহযোগিতায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত থাকায় এবং বর্ষার দিন হলেও ঈদ ও এর পরবর্তী দিন গুলো বৃষ্টিমূক্ত থাকায় কক্সবাজার এসেছে ব্যাপক পর্যটক।

কক্সবাজারের হোটেল মোটেল গুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে, প্রতিবারের মত ঈদের আগের দিন থেকে কিছু কিছু পর্যটক ঈদ করার জন্য কক্সবাজার আসলেও ঈদের দিন থেকে কক্সবাজার আসতে থাকে ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটক স্রোতে। ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, হিমছড়ি, উখিয়ার ইনানী সৈকত, টেকনাফের নেচার পার্ক ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এবং মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ রামুর রাবার বাগান ও বৌদ্ধমন্দির এলাকা গুলোতে ছিল পর্যটকদের উপছে পড়া ভীড়।

দেখা গেছে, সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সী ইন পয়েন্ট ও কলাতলীর গোল চত্ত্বর পয়েন্টে হাজারো পর্যটকের উন্মুক্ত বিচরণ ছাড়াও শত শত পর্যটক সাগরের পানিতে গোসল করে ও স্পিড বোটে চড়ে আনন্দে মেতেছে।

পবিত্র রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকের ভীড় সামাল দিতে কক্সবাজারের জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বরাবরের মত কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে পর্যটন ষ্পট ও বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। কক্সবাজার শহর ও সৈকত এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, সৈকতের কলাতলী, সি-ইন, লাবণী ও ডায়বেটিক পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি টহল টিমও চারটি পয়েন্টে রয়েছে। হোটেল মোটেল জোনেও বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে। ফলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন।

সি-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ সিফাত বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বহু পর্যটক আসবে এটা স্বাভাবিক। এখন বর্ষা মৌসুম, তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সেটা বিবেচনা করে পর্যটকদের সমুদ্রে গোসলে নিরাপত্তা দিতে চারটি পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিক লাইফ গার্ড নিয়োজিত রয়েছে। তারা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ আমেজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ