পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে দেশবাসীকে ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়ে নিজের জন্য দোয়াও চেয়েছেন বলে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। তার ঈদও কাটছে সেখানে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপদেষ্টা মন্ডলী, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শেরে বাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। কাল সকাল সাড়ে ১১ টায় পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা। এরপর নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে কারাগারে যাবেন। শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
ঈদের আগের দিন শুক্রবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার নেত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা বার্তার কথা সাংবাদিকদের জানান।
রিজভী বলেন, “আমাদের সম্মানিত চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যারা দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাদের মাধ্যমে তিনি আপনাদেরকে (সাংবাদিক) এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন।”
বিএনপি ঈদের আগেই তাদের নেত্রীর কারামুক্তি আশা করেছিল। কিন্তু তা না ঘটায় সরকারকেই দায়ী করছেন দলটির নেতারা।
রিজভী বলেন, “আমাদের ঈদের উৎসবের প্রাঙ্গণ নিরানন্দ। আমরা বেদনার্ত মন নিয়ে এই ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ আদালতে জামিন পেলেও ঈদের পূর্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি এবং তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।
“মূল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও সরকার বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আটকে দিয়েছে। ৭৩ বছরের বয়স্কা একজন জনপ্রিয় নেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে সরকার নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতার এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। অমানবিকতা ও নির্মম নিষ্ঠুরতার প্রতিযোগিতার বিশ্বে বড় বড় স্বৈরাশাসকদেরও হার মানিয়েছেন শেখ হাসিনা।”
ঈদের সময়ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “এক ভয়াবহ জুলুম-নিপীড়নের শিকার আমরা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
“কেউ ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া, এলাকা ছাড়া, গ্রাম ছাড়া, পরিবার-পরিজনহীন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা লুকিয়ে আছে বা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, না হয় পুলিশের ভয় আতঙ্কিত।”
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, শহর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম ও মাদারীপুরের নেতা আল আমীনকে গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানান তিনি।
রাজীবকে কেরানীগঞ্জের কারাফটক থেকে তুলে নেওয়ার পর এখনও পুলিশ তা স্বীকার না করার বিষয়টি তুলে রিজভী বলেন, “এই ঘটনা অশুভ ইঙ্গিতবহ। রাজীবকে নিয়ে কোনো অনভিপ্রেত কিছু ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে সকলে মনে করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।