Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষীপুরে ঈদ উৎসবে নির্বাচনী প্রচারণা

লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে লক্ষীপুরে ঈদের আমেজের আড়ালে রাজনৈতিক নেতাদের আধিপত্ত বিস্তারের প্রতিযোগিতা চলছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জাসদ, এলডিপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নিজেদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা ও কেন্দ্রে লবিং শুরু করেছেন। রাস্তাঘাট, হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন। নির্বাচনী প্রচারনার আড়ালে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চলছে আধিপত্ত বিস্তারের প্রতিযোগীতা। বিভিন্নস্থানে প্রতিপক্ষের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ভাংচুর এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের নেতাদের নামে মিথা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতের আধারে মোটরসাইকেল বাহিনী প্রতিপক্ষের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ভাংচুরের ঘটনায় তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জেলায় চারটি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ মোহাজোটের নেতারা প্রকাশ্যে গণসংযোগ করলেও মামলা-হামলার ভয়ে অনেকটা নিভৃতে কৌশলে গণসংযোগ চালিয়েছেন বিএনপি তথা বিশ দলীর জোটের নেতারা। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এবার নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তোলার পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে আন্দোলন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলের নেতারা।
জেলার চারটি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে লক্ষীপুর-১ (রামগঞ্জআসনে ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন এম এ আউয়াল, লক্ষীপুর-২ (রায়পুর) আসনে জাতীয় পর্টির মোহাম্মদ নোমান, এবং লক্ষীপুর-৩ (সদর) এ কে এম শাহজাহান কামাল ও লক্ষীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসেন মোহাম্মদ আবদুল্লা এমপি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদের মধ্যে লক্ষীপুর-৩(সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল বেসামরীক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ চারটি আসনে বর্তমান এমপিরা ছাড়াও মোহাজোটের মনোনয়ন পেতে অনেক প্রার্থী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছে। মোহাজোট কিংবা বিশ দলীয় জোটের দলীয় মনোনয়ন ‘নিশ্চিত’ করে অথবা ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েই প্রার্থীরা তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অনেকে আবার মনোনয়ন লড়াইয়ে ‘বিজয়ী’ হতে চাইছেন মাঠ দখল করে। তাদের অনেকে দীর্ঘ দিন এলাকায় না গেলেও এবার ঈদ করছেন গ্রামে। দলের নেতাকর্মীদের দিচ্ছেন ঈদের বকশিশ, পাঞ্জাবি-পায়জামার মতো উপঢৌকন। গরিবদের মধ্যে বিতরণ করছেন যাকাতের কাপড়, সেমাই, চিনি ও নগদ টাকা।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে ততই বাড়ছে মাঠ দখলের কৌশল ও পরিকল্পনা। ঈদুল ফিতরের পর রাজনীতির মাঠ দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে বৃহৎ দুই দলের প্রার্থীরা। লাখ্য একটাই পরস্পরকে ঘায়েল করে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠন করা। প্রধান দুই দলের এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ছোট দলগুলোও। সব মিলেই জেলার রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জেলা আওয়ামীলীগেরসহ সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, গত রাতে (১৩ জুন) শেখপুরা, রামগঞ্জ, সেনাপুরসহ কয়েকটি স্থানে মোটর সাইকেল আরোহী ৩/৪জন যুবক বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি সম্বলিত আমার ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড ভাংচুর করেছে। সৃষ্ট ঘটনায় নেতা/কর্মীদের মাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমি নেতা/কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ উৎসবে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ