পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে নালিশ করতে বিএনপি ভারত গিয়েছিল বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। বিএনপি নালিশ করতে করতে দূতাবাসগুলোকে তটস্থ করে ফেলেছে।
এটা কোনও রাজনৈতিক দলের পরিচয় হতে পারে না। তাছাড়া, আমাদের দেশের রাজনীতিতে কোনও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। গতকাল সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো ক্ষমতার জন্য ভারতে যাইনি। আমরা ভারতে গিয়ে তিস্তার কথা বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা, আমাদের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু বিএনপি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কি কোন কথা বলেছে? কোন পত্র-পত্রিকায় তো দেখলাম না। কোন মিডিয়ায় কোন খবর আছে? দলটি দেশে এবং দেশের বাইরে সব জায়গায় শুধু নালিশ করে বেড়াচ্ছে।’
ভারত শুধুই আওয়ামী লীগের বন্ধু বিএনপির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘ভারত যদি কেবল আমাদেরই বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে কেন আমরা ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরেছি? কেন ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারিনি?’
তিনি বলেন, বিএনপি ভারত গেছে ইলেকশনে তাদের সাহায্য করতে এবং নালিশ করতে। ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের দেশের নির্বাচন, আমাদের দেশের জনগন যে রায় দিবে সেই ক্ষমতায় আসবে, রায়টাই এখানে বড় কথা। এখানে ভারত কি আমাদের দেশের জনগনকে প্রভাবিত করবে? যে অমুক কে ভোট দেন। আর ভারত এযাবৎ আমার জানা মতে কখনও হস্তক্ষেপ করেনি।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিএমএইচ এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা বাংলাদেশের কোথায় আছে? আপনি আমাকে বলেন? স্এিমএইচ এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা বাংলাদেশে কোথাও আছে বলে আমাদের জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একটি দেশের বড় দলের নেত্রী তিনি। একটি বড় দলের চেয়ারপার্সন তিনি, তার চিকিৎসার ব্যপারটা যাতে ভালোভাবে হয়, কোন প্রকার গাফলতি না হয়। বঙ্গবন্ধুতেও ভালো চিকিৎসক আছে তারপরও যেহেতু তারা চান না, তাহলে সবচেয়ে ভালো যে হাসপাতাল আছে বাংলাদেশে সেটা হচ্ছে সিএমএইচ। সে প্রস্তাবটা তো তাদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়। যদি তারা চিকিৎসা চান। আর যদি রাজনীতি করতে চান সেটা ভিন্ন কথা।
আওয়ামী লীগের জোটে শরিকদের আসন বেশি চাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমি সবাইকে বলবো আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোট নিয়ে আমাদের কিছু কৌশল আছে। এসব ব্যপারে কেউ যেন কোন দায়ীত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য না রাখে এখানে আমাদের একটা পলিসি আছে, সেটা আসন ভাগাভাগি হোক, জোট গঠনের ক্ষেত্রে হোক। সব ব্যপারেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে এই ব্যপারে এখনো দলীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করিনি। আমাদেতর নেত্রী বিদেশ থেকে ফিরেছেন, এখন আমরা ঈদের পরে এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবো।’
জোটের প্রার্থী হলেও জয় নিশ্চিত করতে পারবে এমন প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট যাদের সাথে হবে, যিনি প্রার্থী হবেন তিনি অবশ্যই উইনেবল প্রার্থী হতে হবে সে যে দলেই হোক। আমরা হারার জন্য মনোনয়ন দিব না। সে আওয়ামী লীগের হোক বা শরিক কেউ হোক।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।